বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য-প্লাস্টিক মেশানোর পাশাপাশি থার্মো-প্লাস্টিকের নীল রং, রাসায়নিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। মেমারি ২’নম্বর ব্লকের সাতগেছিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নীল রাস্তার উদ্বোধন হল। জেলার রায়নার উচালনের পরে নীল রাস্তা তৈরি হল মেমারিতে।
বিটুমিনাসের সঙ্গে বর্জ্য-প্লাস্টিক মিশিয়ে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে থার্মো-প্লাস্টিকের নীল রং, রাসায়নিক মিশিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে নীল রঙের এই রাস্তা। মেমারি ২ নম্বর ব্লকের রায়বাটি গ্রামের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কাছে ১৫০ মিটার রাস্তার রং নীল হয়েছে। মেমারি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশন থেকে ওই রাস্তার জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে।এ ধরনের রাস্তায় বিটুমিনাসের সঙ্গে ৬ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য মেশানো হয়। তাপ-বিকিরণ কম হবে এবং মরিচিকাও রাস্তায় থাকবে না।মেমারির রাস্তার জন্যে ২৪০ কেজি প্লাস্টিক লেগেছে বলে জানা গেছে ।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা? নাম শুনে মাথায় হাত পড়বে আপনার
আইএসজিপি সেলের উদ্যোগে রাজ্য অর্থ কমিশনে অনুকূল্যে সাতগেছিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রায়বাটি এস এল ডব্লিএম প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য ৩৫০ মিটার এই নীল রাস্তা তৈরির জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর কোনটি? আপনি থাকেন নাকি? নাম শুনেই আঁতকে উঠবেন
এই রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এটি একটি অনন্য নজির।
গোটা রাজ্যে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ফেলে দেওয়া সমস্ত বর্জ্যের পুনরায় ব্যবহারের কাজ চলে।এছাড়াও বর্জ্য প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করে রাস্তা তৈরীর কাজে লাগানো হয়েছে।
গোটা দেশের মধ্যে এই রাস্তা তৈরি করে নজির সৃষ্টি করে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার উচলন। এরপর মেমারি ২ নম্বর ব্লকের সাতগেছিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই রাস্তা নির্মাণ হল।