জানা গিয়েছে জয়দেববাবুর অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র সৌমেন ঠাকুর বর্তমানে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। আবার বাপ্পাদিত্যবাবুর ভাগ্নে সুরজও একই থ্যালাসেমিয়ে রােগে আক্রান্ত। তাদের জন্য নিয়মিত লাগে রক্ত। আর সেই নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত জোগার করতেই প্রায় সময় হিমসিম খেতে হয়। তাই অন্যদের রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই রক্তের যোগান বাড়াতেই এই রক্ত দান তাদের।
advertisement
রক্ত দেওয়ার পরে তারা জানিয়েছেন " উপকার করতে পেরে মন থেকে ভাল লাগছে। প্রত্যেকের উচিত, প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ানো।" তাই তাদের দান করা রক্তে যদি অন্য কারোর প্রাণ বাঁচে সেটা মহৎ দান বলেই ধরা হবে।থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্ত ছাত্র বা আত্মীয়দের জন্য তাঁদেরও অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অন্য কোনও অসুস্থ মানুষকে যাতে সেই সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্যই রক্তদান শিবিরে আসার ব্যাপারে দু’বার ভাবেননি তারা। অন্যতম উদ্যোক্তা স্মরণজিৎ দে এবং অতনু বর্মণ জানান, এই রক্তদান শিবিরে ৮৫ জন রক্তদান করেছেন যাদের মধ্যে অনেকেই থ্যালেসেমিয়া আক্রান্তের পরিজন। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রসেনজিৎ মুখােপাধ্যায় বলছেন, প্রাক্তনীদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান, যা একটা আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। বর্তমানে যারা ছাত্র তারা যখন প্রাক্তন ছাত্র হবে তাদেরও এই ধরনের অনুষ্ঠান করতে উৎসাহিত করা হবে।