আরও পড়ুন: বড় গাড়ির বদলে সাইকেলে চাপলেন সেই সন্দেশখালির বিধায়ক! কী হল জানেন
রক্তদান মহৎ দান। বারবার এই কথাটা বলা হয়। তারপরও একটা বিরাট অংশের মানুষ রক্তদান করতে ভয় পান, আবার অনেক কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে রক্তদান থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। এদিকে প্রতিনিয়ত মানুষের চিকিৎসায় রক্তের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা মেটাতেই প্রথাগত ছক ভেঙে পিকনিকের আমেজে আয়োজন করা হল রক্তদান শিবির। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ইকো ট্যুরিজম পার্কে আয়োজিত এই অভিনব আয়োজনের সাক্ষী থাকল জেলার মানুষ।
advertisement
গ্রীষ্মকালীন রক্তের সঙ্কট মেটাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয় রক্তদান শিবির। বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আবার কখনও বিবাহ অনুষ্ঠান বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানেও রক্তদান শিবির করে থাকেন বহু মানুষ। তবে শীতকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ পিকনিকের আনন্দেই মজে থাকেন। তবে সামান্য ইচ্ছে ও মানসিকতা থাকলেই সমাজের কাজে যে এগিয়ে আসা যায় তা প্রমাণ করে দেখালেন কুইজ ও-ম্যানিয়া নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ঘাটালের ইকো ট্যুরিজম পার্কে এদিন একদিকে ছিল রান্না, খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলার ব্যবস্থা অন্যদিকে আয়োজন করা হয় রক্তদান শিবিরের। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পিকনিকে রক্তদান’।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পরে মহাকুমাশাসক তাঁর ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখেন, পিকনিক তো আমরা সবাই করি। শীতের নরম রোদে মুক্ত বাতায়নে সবার সঙ্গে খাওয়াদাওয়া আর দেদার হুল্লোড়ের মধ্যে দিয়ে একটা দিন কাটানোর নামই বনভোজন বা পিকনিক। শীতকাল জুড়ে কতই তো পিকনিক হয় আমাদের চারিদিকে। এই ভিন্ন স্বাদের পিকনিক ঘাটাল মহকুমায় প্রথম। আপনারাও এগিয়ে আসুন এই ধরণের আয়োজনে। আপনাদের পিকনিকেও সঙ্গী হোক রক্তদান। কোনও সংস্থা পিকনিকে রক্তদান আয়োজন করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। রক্তদান শিবির বুকিংয়ের ব্যবস্থাটুকু করে দিতে পারব।
এদিনের এই রক্তদান শিবিরে প্রায় ৫০ জন রক্তদাতা রক্ত দিয়েছেন। পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারা গাছ।
রঞ্জন চন্দ