রিমিলির বাবা শঙ্কর মজুমদার একজন চিকিৎসক। প্রথমে মেয়ের ব্যাপারে জেনে খুব কষ্ট হয়েছিল তাঁর কিন্তু এখন খুব গর্বিত বাবা। বললেন আমার মেয়ের দৃষ্টি শক্তি না থাকলেও ও সাবলম্বী। রিমলির মা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি চান তার মেয়ে গান গেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক। দৃষ্টিহীন স্কুলে পড়াশোনা করে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেছেন রিমলি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বি মিউজিক নিয়ে ভরতিহলেও করোন অতিমারির সময় তাতে ছেদ পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন- ভারতে এখনও পর্যন্ত কত জন নারীকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে? জানলে শিউরে উঠবেন…!
রিমলির পাড়ার প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন রিমলির ছোট থেকেও অন্ধ হলেও তার গলার যে প্রতিভা সেটা আর পাঁচটা মানুষের থেকে একদম আলাদা। রিমলি সারাদিন বাড়িতেই থাকে আর অবসর সময়ে সে হারমোনিয়াম তবলা নিয়ে গানের রেওয়াজ করে। পাড়ায় বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও অনুষ্ঠান হলে গান গাওয়ার জন্য ডাক আসে রিমলির জন্য। রিমলি এর মা হাজার কাজের মাঝেও তাকে সেই অনুষ্ঠানে নিয়ে যায়।
রিমলি নিজেও চায়একজন বড় শিল্পী হতে, যাতে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। যাতে সবাই তাকে এক নামে চেনে। আগামী দিনে বড় সংগীত শিল্পী হয়ে রিমলী নিজের মা-বাবার পাশে দাঁড়াতে চান। তিনি প্রমাণ করতে চান প্রতিবন্ধকতা থাকলেওমনের ইচ্ছা শক্তি নিয়ে অনেক বড় কিছু করা যায়। আর তার এই ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই।
সৌভিক রায়