ভারতে এখনও পর্যন্ত কত জন নারীকে 'মৃত্যুদণ্ড' দেওয়া হয়েছে? জানলে শিউরে উঠবেন...!

Last Updated:
Death Sentence To Indian Women: কিন্তু আপনি কি জানেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে কতজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে? আজ আমরা আপনাকে বলব, কোন অপরাধের জন্য আদালত নারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
1/11
ভারত বিচারব্যবস্থা দ্বারা শাসিত দেশ। ভারতের সংবিধান বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভারতে শেষবার কবে একজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল?
ভারত বিচারব্যবস্থা দ্বারা শাসিত দেশ। ভারতের সংবিধান বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভারতে শেষবার কবে একজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল?
advertisement
2/11
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণ মামলায় আসামি সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। যা নিয়ে দেশ জুড়ে ফের হইচই। সকলেরই দাবি, মৃত্যুদণ্ড হোক সঞ্জয়ের।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণ মামলায় আসামি সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। যা নিয়ে দেশ জুড়ে ফের হইচই। সকলেরই দাবি, মৃত্যুদণ্ড হোক সঞ্জয়ের।
advertisement
3/11
সঞ্জয় রাইয়ের দুই আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী ও কবিতা সরকার। মৃত্যুদণ্ডের মুখ থেকে দুই মহিলাই 'বাঁচিয়ে' আনলেন সঞ্জয় রাইকে, এমনই চলছে চর্চা। যদিও নিম্ন আদালত থেকে এই মামলা এবার হাই কোর্টে গড়াবে। সঞ্জয়ের সাজার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেখানেই।
সঞ্জয় রাইয়ের দুই আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী ও কবিতা সরকার। মৃত্যুদণ্ডের মুখ থেকে দুই মহিলাই 'বাঁচিয়ে' আনলেন সঞ্জয় রাইকে, এমনই চলছে চর্চা। যদিও নিম্ন আদালত থেকে এই মামলা এবার হাই কোর্টে গড়াবে। সঞ্জয়ের সাজার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেখানেই।
advertisement
4/11
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা সামনে আসছে, যা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। ভারতের আইনি ব্যবস্থার অধীনে একমাত্র আদালতই অপরাধীকে শাস্তি দিতে পারে। আদালত ছাড়া অন্য কোনও প্রশাসনিক সংস্থা কাউকে শাস্তি দিতে পারে না।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অপরাধের ঘটনা সামনে আসছে, যা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। ভারতের আইনি ব্যবস্থার অধীনে একমাত্র আদালতই অপরাধীকে শাস্তি দিতে পারে। আদালত ছাড়া অন্য কোনও প্রশাসনিক সংস্থা কাউকে শাস্তি দিতে পারে না।
advertisement
5/11
কোনও দেশেই, এমনকি ভারতে, অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সবচেয়ে বড় শাস্তি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দণ্ড সাধারণত বিরল থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে দেওয়া হয়।
কোনও দেশেই, এমনকি ভারতে, অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সবচেয়ে বড় শাস্তি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দণ্ড সাধারণত বিরল থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে দেওয়া হয়।
advertisement
6/11
কিন্তু আপনি কি জানেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে কতজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে? আজ আমরা আপনাকে বলব, কোন অপরাধের জন্য আদালত নারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে কতজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে? আজ আমরা আপনাকে বলব, কোন অপরাধের জন্য আদালত নারীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
advertisement
7/11
ভারতে নারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। স্বাধীন ভারতে, রতনবাই ছিলেন প্রথম নারী, যাকে ১৯৫৫ সালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। রতনবাইকে তিনটি মেয়েকে হত্যার অভিযোগে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে নারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। স্বাধীন ভারতে, রতনবাই ছিলেন প্রথম নারী, যাকে ১৯৫৫ সালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। রতনবাইকে তিনটি মেয়েকে হত্যার অভিযোগে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
8/11
আসলে, রতনবাই তাঁর স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে তিন মেয়েকে হত্যা করেছিলেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনার ফলে দেশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল।
আসলে, রতনবাই তাঁর স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে তিন মেয়েকে হত্যা করেছিলেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনার ফলে দেশে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল।
advertisement
9/11
এরপর শবনম হলেন দ্বিতীয় নারী, যাকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শবনম তার পরিবারের সাতজন সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শবনম তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। তখন রাষ্ট্রপতি তার দয়া প্রার্থনাও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এরপর শবনম হলেন দ্বিতীয় নারী, যাকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শবনম তার পরিবারের সাতজন সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শবনম তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। তখন রাষ্ট্রপতি তার দয়া প্রার্থনাও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
advertisement
10/11
জানিয়ে রাখি, স্বাধীন ভারতে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন কেরালার থিরুভনন্তপুরম জেলার নেয়াত্তিঙ্কারা আদালত ২৪ বছর বয়সি গ্রিশমাকে তাঁর প্রেমিক শ্যারন রাজের হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
এর পর, ২০২৩ সালে কেরালার থিরুভনন্তপুরম জেলার নেয়াত্তিঙ্কারা আদালত ২৪ বছর বয়সি গ্রিশমাকে তাঁর প্রেমিক শ্যারন রাজের হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।  
advertisement
11/11
অর্থাৎ, স্বাধীন ভারতে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে:রতনবাই (১৯৫৫): তার স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে তিনটি মেয়েকে হত্যা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
শবনম (২০০৮): তার প্রেমিকের সহযোগিতায় তার পরিবারের সাতজন সদস্যকে হত্যা করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার দয়া প্রার্থনাও রাষ্ট্রপতি দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
গ্রিশমা (২০২৩): কেরালার নেয়াত্তিঙ্কারা আদালত তার প্রেমিক শ্যারন রাজকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
ভারতের আইনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অত্যন্ত বিরল এবং শুধুমাত্র বিরল থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে এই শাস্তি দেওয়া হয়।
অর্থাৎ, স্বাধীন ভারতে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: রতনবাই (১৯৫৫): তার স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে তিনটি মেয়েকে হত্যা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। শবনম (২০০৮): তার প্রেমিকের সহযোগিতায় তার পরিবারের সাতজন সদস্যকে হত্যা করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার দয়া প্রার্থনাও রাষ্ট্রপতি দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। গ্রিশমা (২০২৩): কেরালার নেয়াত্তিঙ্কারা আদালত তার প্রেমিক শ্যারন রাজকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভারতের আইনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অত্যন্ত বিরল এবং শুধুমাত্র বিরল থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে এই শাস্তি দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
advertisement