একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে প্রচারে আসে বিজেপির দিল্লি ব্রিগেড। অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা থেকে যোগী আদিত্যনাথ। প্রায় কেউই বাদ যাননি। পদ্মের এই নেতাদের বহিরাগত তকমা দিয়ে আক্রমণে ঝাঁপায় তৃণমূল। ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায়, বঙ্গ রাজনীতির বাইশ গজে ফ্লপ বিজেপির দিল্লি ব্রিগেড। মমতার একাই দুশো পার। অনেকের মতে, একুশের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার পঞ্চায়েত ভোটে পদ্মের অস্ত্র বঙ্গসন্তান মিঠুন চক্রবর্তী। যাকে সামনে রেখে বাঙালি আবেগে শান দেওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রয়াত বিক্রম গোখলে, আরও এক দাপুটে অভিনেতাকে হারাল বলিউড
পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে বাংলায় ভাষণ। লাঞ্চেও কাঁসার বাসন। একেবারে বাঙালি মেনু। মাছ-ভাতে বাঙালি। মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বাঙালি খাবার আমার ভীষণ প্রিয়। আমরা খাবার নিয়ে কথা বলব না তো কি বালি, কয়লা, গরু নিয়ে কথা বলব!’’ ঘটা করে দুর্গাপুজো। বাঙালি মণীষীদের জন্মজয়ন্তী পালন। অনেকের মতে, বাঙালির আবেগ ছুঁতে এর সবই করেছে বিজেপি। তারপরও বঙ্গজয়ের স্বপ্ন সফল হয়নি। এবার কি তাই বঙ্গজয় করতে বঙ্গসন্তানেই আস্থা ? প্রশ্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। তাই এবার বঙ্গজয়ে পদ্ম শিবিরের বাজি বঙ্গসন্তান।
আরও পড়ুন- ডিসেম্বরে ২৫কে ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুত কলকাতা! নজর কাড়বে ঝুলন-শুভশ্রীর উজ্জ্বল উপস্থিতি
মিঠুনের কথায়, ‘‘আমি তো বড় বহিরাগত। এখানেই জন্মেছি। হিন্দুস্তান এক হ্যায়। এত ভাগ কীসের।’’ এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বললেন, ‘‘শীতকালে যাত্রাপালা, সার্কাস। বাঘ-সিংহ দেখা যায় না। জোকার দিয়ে সার্কাস হয়। লোকে দেখতে যাবে। ফিরে তৃণমূলকে ভোট দেবে।’’ পদ্মের মিঠুন-কৌশল ঘিরে এভাবেই গরম রাজ্য রাজনীতি। বুধবার পুরুলিয়া দিয়ে জেলা সফর শুরু করে আজ, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাংগঠনিক বৈঠক ও পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন রয়েছে বাঁকুড়ায়। সব মিলিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘিরে বাংলা ও বাঙালির আবেগকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।