বর্ধমান রেলস্টেশনে ট্রেন ধরার আগে বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের টার্গেট আছে পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে সাত হাজার কর্মী নবান্ন অভিযানে অংশ নেবে। কিন্তু গতকাল বিকেল থেকে সংবাদ মাধ্যম মারফত দেখেছি তৃণমূলের দলদাস পুলিশ ট্রেনের ভেতর থেকে আমাদের কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে দিচ্ছে। কোথায়, কাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে খবরই পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।পুলিশের এই আচরণের জন্য কত জন কর্মী নবান্নের গিয়ে হাজির হতে পারবে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। তাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আমরা এই অভিযানকে সফল করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’’
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: ঘণ্টায় ৫৫ কিমি গতিতে হুহু করে হাওয়া, জেলায় জেলায় তুলকালাম বৃষ্টি, রইল ওয়েদার আপডেট
বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘‘পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করছে। তাই আমরা দলীয় পতাকা প্রকাশ্যে আনছি না। সাধারণের সঙ্গে মিশে আমরা হাওড়া পৌঁছাতে চাইছি। এ রাজ্যে এমন একটা সরকার চলছে যে বিরোধীদের একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করারও অধিকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে মেদিনীপুরে পালিয়ে গিয়েছেন। ভাইপোকে পাঠিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। এখন পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমরাও সেজন্যই বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছি। এখন সাধারণ পোশাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছি। দলীয় ঝান্ডা ব্যবহার করছি না। ফেরার সময় বুঝিয়ে দেব আমরা কি।’’
তবে কি ফেরার পথে অশান্তি ভাঙচুর এর মধ্য দিয়ে বিজেপি তার ক্ষমতা দেখাতে চাইবে, এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতারা বলেন, ‘‘আমরা অশান্তি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পক্ষে নই।’’
Saradindu Ghosh