এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, “ এর আগে এই একই ঘটনা সিপিএম করেছে, কংগ্রেস করেছে আর এখন স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল করছে। আর সব দলের যত খারাপ গুন সব এই তৃণমূলের মধ্যেই রয়েছে। আমরা এ সবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে সিবিআই একটি দলের নেতাকে গ্রেফতার করলে বিরোধী দলের নেতাদের মারতে হবে, দলীয় কার্যালয় ভেঙে দিতে হবে, গাড়ি ভেঙে দিতে হবে। এই ধংসাত্মক রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ লগ্নকে ঘনিয়ে নিয়ে আসছে। ’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ ক্যানিং থেকে কোচবিহার সর্বত্র আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর, তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের পুলিশের উপর ভরসা নেই। আমরা এর মোকাবিলা রাজনৈতিক ভাবেই করব। আমরা একতরফা ছেড়ে দেবো না। তৃণমূল যদি মনে করে দুটো আঁধলা ইট মেরে, দুটো গাড়ি ভাঙচুর করে বা পার্টি অফিস ভেঙে বিজেপিকে আটকে রাখবে তাহলে ওরা ভুল করছে। আজকের বাংলার বিজেপি আর সেই বিজেপি নয় যে তৃনমূলের হাতে মার খেয়ে ছেড়ে দেবে।আমরা রাস্তায় নেমে সাধারন মানুষের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরব যে একটা দল নিজেদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাঁচাতে, কালো টাকা বাঁচাতে সাধারণ মানুষ ও অন্য রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করছে”।
advertisement
দিলীপবাবু এদিন আরও বলেন, “ সিবিআই ও ইডি তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে। প্রথম ইনিংসে সাতটা উইকেট পড়েছিল, একে একে সমস্ত টিম প্যাভিলিয়নে যাবে। প্রথম দিন দলের এগারোতম সদস্য আউট হয়েছিল, দ্বিতীয়দিন একজন ওপেনার আউট হয়েছে। যে দলের লোকসভার নেতা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয় সেই দলের কোনও আন্দোলন করার নৈতিক অধিকার কি আদৌ আছে ? ”