কিন্তু এখন থেকেই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলাফলে (West Bengal Election Results) যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, তাতে ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল। আর তা হলে মুকুল কি ফের ফিরে আসবেন নিজের পুরনো দলে? তা নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা চলছে। ভোট প্রচারে মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারীর তুলনা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'মুকুল অনেক ভালো শুভেন্দুর তুলনায়।' বাংলার রাজনৈতিক মহল সেই কথায় বিশেষ ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছিলেন।
advertisement
বাংলার রাজনীতির 'চাণক্য' মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একেবারে আনকোরা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের নাম মনোনীত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষের আগুন জ্বলছিল দলের অন্দরেও। যদিও জেলার রাজনীতিতে জড়িয়ে থাকা অনেকেই বলছেন, এই লড়াই আসলে মুকুল বনাম মহুয়া মৈত্রর। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়েছিল ১১টি আসনে, সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ৫৩ হাজার। তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র ৬টি আসনে।
এর পরই নদীয়ার হাল ফেরাতে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকেই জেলা সভাপতি করেন তিনি। তাই এবারের বিধানসভা ভোট মহুয়া মৈত্র তথা তৃণমূলের সম্মান রক্ষার লড়াইও বটে। সেই হিসেবে নদিয়ার অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে আছে তৃণমূল। গোটা রাজ্যের ট্রেন্ডই তাই বলছে। ফলে জেলার নিরিখে মুকুল নিজের কেন্দ্রে এগিয়ে থাকলেও তৃণমূল সাড়া জাগানো ফল করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল।