এ ব্যাপারে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, ছোট থেকে বড় প্রত্যেক কর্মীর আবেগকে আমরা সম্মান করি। সেই সম্মান দিয়ে এই কথা মনে করিয়ে দিতে চাই ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়। তাই প্রকৃত নেতাকর্মীরা এই ধরনের ভুল কাজ করতে পারেন না।
আরও পড়ুন ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বীরভূমে মোতায়ন ৫ কোম্পানি বাহিনী
advertisement
এদিন বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার গলসি সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে দেয়াল লিখন শুরু করেন আদি বিজেপি কর্মীরা। আদি বিজেপির নামে স্লোগানও দেওয়া হয়। আদি বিজেপি নেতা স্মৃতিকান্ত মন্ডল বলেন, ২১ জানুয়ারি আমরা জেলা কার্যালয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। সেদিন আমাদের ওপর ইটবৃষ্টি হয়েছিল। গাড়িগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শোকজের উত্তর দেওয়া হলেও ওই ঘটনার সদুত্তর এখনও আমরা পাইনি। বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত। কিন্তু দল আমাদের ডাকছে না। আমরা তৃণমূল বা সিপিএম করতে পারবো না। তাই আদি বিজেপির নামে আমরা দেওয়াল দেখছি। এখন দল আমাদের ডাকলে ওই দেওয়ালে পদ্ম ফুল আঁকা হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশন যে সিম্বল দেবে তাকে সামনে রেখে আমরা লড়াই করব।
আদি বিজেপি ও নব বিজেপির কর্মীদের মধ্যে বচসা ও তাকে ঘিরে বর্ধমানে জেলা কার্যালয়ের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড এখনও রাজ্যবাসীর স্মৃতিতে টাটকা। পরিবর্তন যাত্রা সেই ক্ষতে প্রলেপ দেবে বলেই মনে করছিলেন বিজেপির জেলা নেতারা। কিন্তু এদিন পরিবর্তন যাত্রা রথ পশ্চিম বর্ধমানে প্রবেশ করতেই আদি বিজেপি নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তাঁরা ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, দল বড় হচ্ছে। তৃণমূল বা অন্য দল থেকে অনেকে বিজেপিতে আসছেন। এই পরিবর্তনটা মানতে না পারার জন্য সংঘাত হচ্ছে।