বিজেপির নেতৃত্বে মহাজোটে বামেদেরও যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা। গত বুধবার কুলতলির মৈপীঠের দলের প্রতিবাদ সভা থেকে মহাজোট বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। ধর্মীয় বিভাজনের কৌশল নয়, পঞ্চায়েতে ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিমকেও একজোট হওয়ার ডাক দিলেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু। সেই সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘হিন্দু- মুসলিম ফাঁদে পা দিলে হবে না। জোট বেঁধে পদ্ম ফুলের নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে হারাতে হবে।’’
advertisement
বামপন্থীদেরও এই জোটে আসার কথা বললেও জোটের চালিকাশক্তি যে হবে বিজেপিই, তাও স্পষ্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার পদ্ম নেতারা বারবার মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিয়েছেন। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের আগে বাংলার পদ্ম শিবিরের অনেক নেতার গলায় ভিন্ন সুর। মেরুকরণের বদলে হিন্দু-মুসলিমকে জোট বাঁধার ডাক। কারণ, পদ্ম শিবির বুঝেছে, তৃণমূলকে হারাতে হলে তাদের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসাতেই হবে। তাই তারা মুসলিমদের মন পেতে মরিয়া। সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিও। সেই মতোই এবার বাংলার সংখ্যালঘুদের মন পেতে নানান কৌশল নিতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
মেরুকরণ নয়, বদলে এখন একজোট হওয়ার বার্তা দিতে সংখ্যালঘু এলাকায় বিশেষ প্রচার অভিযানেরও উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। নন্দকুমার থেকে মহিষাদল। সম্প্রতি, একাধিক সমবায় নির্বাচনে নিচুতলায় রাম-বাম জোট হয়। তারপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে জোর জল্পনা, তা হলে কি পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দকুমার মডেল? জল্পনা আরও উস্কে দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুঝিয়ে দেন নিচুতলায় জোট হলে, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি কারও সঙ্গে জোটে আগ্রহী নয়, কিন্তু, নিচুতলার লোকেরা যা করার করবে। তাদের উপর তো নিয়ন্ত্রণ চলে না। কিন্তু, কন্ট্রোল থাকবে বিজেপির হাতে ৷ ’’