এবার নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ভোটার কার্ড করার নন্দীগ্রামে। নন্দনায়েকবাড়ে তিনি ভোট দেন ১ মার্চ সকাল সাতটায়। তার পরিবারের ভোট হয়ে গিয়েছিল অবশ্য প্রথম দফাতেই। বাড়ির লাগোয়া প্রভাতকুমার কলেজে। সেখানে গোটা পড়িবারই নির্বাচনের দিন ভোট দিয়েছেন। ভোটের আগে পরে শুভেন্দুর আত্মবিশ্বাসের একচুলও অভাব হয়নি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, তাঁর নিজের বাড়ির বুথেই পিছিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। ১৫ নং ওয়ার্ডে চারটি বুথ যথা ৮৩, ৮৩ এ, ১১৪, ১১৪ এ। ভোটের বিচারে এই ৮৩ নং বুথে বিজেপির থেকে তৃণমূল এগিয়ে ৫৪ ভোটে। অন্য তিনটি বুথে অবশ্য সামান্য পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এই কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টও ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।
advertisement
অবশ্য শেষ হিসেবে এই কেন্দ্রে হেরেই গিয়েছে তৃণমূলের জ্যোতির্ময় কর। যদিও তাঁর দাবি সময় পেলে তিনি এই কেন্দ্রটিকেও জয় করতে। প্রসঙ্গত গোটা রাজ্যে বিজেপি ২০০ আসনের লক্ষ্য়ে ল়ড়ে ঝুলিতে পুরেছে ৭৭ টি আসন। দিনের শেষে বহু কাঙ্খিত আসনেই দাঁত ফোঁটাতে না পারলেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত করেছেন শুভেন্দু। যদিও সে জয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাফ লাখ ভোটে জেতার হুঙ্কার তুলে শুভেন্দু জয় পেয়েছেন ২০০০-এরও কম ব্যবধানে।
