জানা গিয়েছে, এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ার একটি কলেজ থেকে এমএড-এর সার্টিফিকেট নিয়ে গাড়িতে স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ফিরছিলেন তিস্তাদেবী৷ ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নিমতৌড়ির কাছে রাস্তার উপরেই একটি লরি খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল৷ সেই লরিটির পিছনে এসে দাঁড়ায় তিস্তাদেবীদের গাড়ি৷ তখনই পিছন থেকে একটি তেলের ট্যাঙ্কার সজোরে তিস্তাদেবীদের গাড়িতে ধাক্কা মারে৷ যার ফলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৪১ বছরের জীবন-সঙ্গী চলে গেলেন, 'অনুপ্রেরণা' হারিয়ে শোকস্তব্ধ CPIM নেতা অশোক ভট্টাচার্য
গুরুতর আহত অবস্থায় তিস্তাদেবী এবং তাঁর মেয়ে ও স্বামীকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ৷ সেখানেই তিস্তাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ ওই হাসপাতালেই তিস্তাদেবীর মেয়ের চিকিৎসা চলছে৷ ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতার হাজরা রোডে তিস্তাদেবীর বাড়িতে যান তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার ও পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তিস্তাদেবীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
২০১৫ সালে বিজেপি-র টিকিটে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন তিস্তা বিশ্বাস দাস৷ ২০১০ সাল থেকে বিজেপি-র হয়ে কাজ করছিলেন তিনি৷ তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাসও বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত৷
আগামিকাল তমলুক জেলা হাসপাতালেই তিস্তাদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে৷ তার পর বেলা দুটো নাগাদ কলকাতার হাজরা রোডের বাড়িতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসার কথা৷