পুজোর আগে পুজো শুরু। সোমবার তোপধ্বনি দিয়ে শুরু হয় বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের সুপ্রাচীন মৃন্ময়ীর পুজো। তিথি নক্ষত্র মেনে বিষ্ণুপুরের মুর্ছা পাহাড় থেকে মুহুর্মুহু গর্জে উঠে কামান। হাজার বছরের রীতি মেনে স্থানীয় গোপাল সায়র থেকে পুজো অর্চনা করে মন্দিরে নিয়ে আসা হয় বড় ঠাকরুনকে। কথিত আছে, হাজার বছর আগে মৃন্ময়ীর নির্দেশ মতো বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজ পরিবারের কূলদেবী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পান দেবী মৃন্ময়ী।
advertisement
তৎকালীন জঙ্গলাকীর্ণ বিষ্ণুপুরের জঙ্গল সাফ করে স্থাপিত হয় প্রাচীন সার্বভৌম মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর। তৎকালীন মল্ল রাজা জগৎমল্লের হাত ধরে জীতাষ্টমীর দিন মৃন্ময়ীর পুজো শুরু হত এখানে। আজও সেই রীতি অব্যাহত। তিথির হেরফেরে এবার জীতাষ্টমীর পরদিন নিয়ম মেনে রাজ পুরোহিতদের পুজো পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বড় ঠাকুরানী অর্থাৎ মহালক্ষ্মীর পুজো। এরপর মান চতুর্থীর দিনে মেজ ঠাকুরানি অর্থাৎ মহা সরস্বতীর পুজো হবে। সপ্তমীর সকালে পুজো হবে ছোট ঠাকুরানী অর্থাৎ মহাকালী।
মৃন্ময়ীর এই পুজোকে ঘিরে শুধু রাজ পরিবারের নয়। আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণুপুরের আপামর মানুষেরও।