এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের পারদ চড়ছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। করণ মাস কয়েক আগেই প্রায় আশিটি হাতির একটি দল দফায় দফায় বাঁকুড়া ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরেছিল। সেবার হাতির তাণ্ডবে শীতকালীন ফসলের বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতির এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। তার মধ্যেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ল বাঁকুড়া জেলায়।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘এভাবে কতটা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?’ হাসপাতালে নার্স সংকট! বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন সকলে
এমনিতে সামনেই পুজো। তাছাড়া এখন জেলার সর্বত্রই জমিতে রয়েছে আমন ধান। এই পরিস্থিতিতে জেলায় হাতির দল ঢুকে পড়ায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, গত রাতে হাতির দল ঢুকেই কার্যত তছনছ করে দিয়েছে সীমানাবর্তী ফুলবনি মৌজায় থাকা বিঘের পর বিঘে আমন ধানের জমি। রাতভর জেগে জমির ফসল পাহারা দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেন নি এলাকার কৃষকেরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের দাবি, হাতির দল ঢুকে পড়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাতির দল দেখতে এবং তার ছবি, ভিডিও করতে রাতেই কাতারে কাতারে মানুষ ছুটে আসেন ফুলবনিতে। আর তাতেই বিভ্রান্ত হয়ে হাতির দল তাণ্ডব চালাতে শুরু করে ফসলের জমিতে। বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে থাকলেও হাতির মুখ থেকে কষ্টে ফলানো ফসল রক্ষার জন্য তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। আর এতেই বন দফতরের বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন : ঘরে অশান্তি করে গাছের মগডালে যুবক, পাঁচ ঘন্টা ধরে নাটক! নামাতে দম ছুটল দমকল-পুলিশের! শেষে কী হল জানেন?
তবে যে সমস্ত কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিগত দিনে হাতির তাণ্ডবে যাদের ক্ষতি হয়েছে, তাদের মধ্যে যে সমস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র বন দফতরের কাছে জমা দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন বাকাদহ রেঞ্জ অফিসার তপব্রত রায়ের। এছাড়াও তিনি বলেন, গতরাতে পাঁচ থেকে দশ হাজার মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই হাতি নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে জঙ্গলে ২৫ টি হাতি রয়েছে। জঙ্গল তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সাবধান, সচেতন ভাবে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে বন দফতর।