জানা যায়, বীরভূমের লাভপুর থানার এই গ্রাম মূলত তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আর এই গ্রামের বাসিন্দা ধৃত। অভিযুক্ত একটি অ্যাপের মাধ্যমে ৪২ হাজার ১০৮ টাকার মোবাইল ফোন অর্ডার দেয়। ঠিকানা দেয় সিউড়ির টিনবাজারের রামকৃষ্ণ আশ্রম। ওখানে সে কয়েক বছর থেকেছে। কোম্পানির ডেলিভারি বয় রবিবার সকালে আশ্রমের সামনে ক্রেতার দেওয়া ঠিকানা মত হাজির হয়। ডেলিভারি বয় নীল বাগদির দাবি, “ফোনটি হাতে নিয়ে মহারাজকে দেখাতে নিয়ে যাওয়ার দাবি করে ক্রেতা। আমি এত টাকার জিনিস ছাড়িনি। কিন্তু বাইক স্ট্যান্ড করার ফাঁকে ফোনের বক্স ছিনিয়ে সে দৌড় লাগায়।”
advertisement
যেহেতু অভিযুক্ত সেখানে কয়েক বছর থেকে ছিল তাই এলাকা পরিচিত তার। তাই অলিগলি দিয়ে ছুটতে থাকে সে। কিন্তু একটি গলিতে ঢুকে আটকে পড়ে। ধরা পড়ে গেলে কোম্পানির লোক তাকে তুলে নিয়ে তাদের অফিসে যায়। ধৃতের কাছে আরও তিনটি মোবাইল উদ্ধার হয়। যদিও তার দাবি, সেগুলি মা, মামার দেওয়া মোবাইল।কিন্তু একটা ভাল মোবাইল দরকার ছিল তাই এই চুরির ফাঁদ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অ্যাপস কোম্পানির কর্মীরা জানান, কিছুতেই নিজের পরিচয় ও ফোন নম্বর দিতে চাইছিল না অভিযুক্ত। বিভিন্ন সময় বাড়ির বিভিন্ন ঠিকানা জানাচ্ছিল সে। তবে সে জানায় এটাই তার প্রথম কারসাজি। যদিও এর আগে একবার এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে একটি মোবাইল ফোন অর্ডার দিয়েছিল। তবে কিছু কারণবশত সেই মোবাইল ফোনটি ক্যান্সেল হয়ে যায়। আবার সে অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ফোন অর্ডার করে। হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তাকে সিউড়ি থানার পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সৌভিক রায়