শিল্পসদন প্রতিষ্ঠার পরে তাঁতশিল্পের বিকাশে তাঁর উদ্যোগ ছিল একদম চোখে পড়ার মতো। তাঁতের পাশাপাশি বুটিক, কাপড়ের প্রিন্টিং ও হস্তশিল্পের বিভিন্ন শিল্পকর্মের কাজ করে থাকে শ্রীনিকেতনের শিল্পসদন। সে সব কাজ বিশ্ব বিখ্যাত। সেই শিল্প সদনেরই টেক্সটাইল বিভাগের অধ্যাপক বিশাল ভান্ড এখন বর্তমানে বোলপুর শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি এলাকার বাসিন্দা। তিনিও টেক্সটাইলের ওপরে বিভিন্ন কাজ বেশ কিছুদিন ধরে করে আসছেন। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদেরও নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বড় বিনিয়োগ নেই, ঘরে বসে এইভাবে মোটা ইনকাম করছেন গৃহবধূ! চাইলে আপনিও আজ থেকে শুরু করতে পারেন
কয়েকদিন আগেই লন্ডনের একটি বিখ্যাত পত্রিকার আমন্ত্রণ পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন অধ্যাপক বিশাল ভান্ড। সেখানে টেক্সটাইলের ওপরে প্রায় একমাস ধরে চলে কর্মশালা। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘লন্ডন টেক্সটাইল মান্থ’। সেখানে পাঁচ দিন ধরে ওই অধ্যাপক ভারতীয় পদ্ধতিতে কী ভাবে কাপড়ের ওপরে প্রিন্ট করা হয় তার প্রশিক্ষণ দেন। রস্ট, ইকো ও ব্লক প্রিন্ট এই তিন পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে তাঁতে বোনা সুতি ও রেশমের কাপড়ের ওপরে প্রিন্টিংয়ের প্রশিক্ষণ দেন ওই অধ্যাপক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার বেশ কিছু কাজও তুলে ধরেন। ওই কর্মশালায় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান সহ বিভিন্ন দেশে থেকে আনুমানিক প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন ও তাঁরা প্রশিক্ষণও নেন। সেখানে বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতনের শিল্পকর্ম তুলে ধরতে পেরে অনেকটাই আপ্লুত ওই অধ্যাপক। অধ্যাপকের কথায়, ‘রবীন্দ্রনাথ এই চিন্তাভাবনা অনেক আগেই করেছিলেন। আজকে বিদেশের সঙ্গে আমাদের আদান-প্রদান করা খুবই দরকার। কারণ আজ এই শিল্পকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।” তাঁর এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শিল্প প্রেমী মানুষজনের।






