২১ জুলাইয়ের পর থেকেই একেবারে পাল্টে গেছে ফাইজুলের জীবন। আগে সাধারণ দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালালেও এখন তাঁর পরিচয় অন্যরকম। কলকাতায় গিয়ে হঠাৎ ভাইরাল হওয়ার পর ফাইজুল হয়ে গেছেন গ্রামের ‘শাহরুখ’। এখন সাহাপুর গ্রামের মানুষজনকে ‘শাহরুখ দা’ বাড়ির খোঁজ চাইলেই সরাসরি পৌঁছে দেন ফাইজুলের বাড়িতে।
advertisement
ভাইরাল হওয়ার পর ফাইজুল সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সেখানে তিনি নিয়মিত শাহরুখ খানের মত করে রিলস বানিয়ে পোস্ট করছেন। সেই রিলসগুলো এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে এখন তাঁর অ্যাকাউন্টে ডলার আসছে! গ্রামবাংলার ফাইজুল এখন বৈদেশিক আয়ও করছেন, যা তাঁকে গ্রাম ও জেলার বাইরেও পরিচিত করে তুলেছে।
ফাইজুলের পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং আরও কয়েকজন নিয়ে মোট ছয়জনের সংসার। ভাইরাল হওয়ার পর শুধু পরিচিতিই নয়, ভালবাসাও বেড়েছে অনেক গুণ। তাঁর নিজের কথায় ‘আমি এখন ইলামবাজার, বোলপুর বা সিউড়ি গেলেই মানুষ ঝাঁক ঝাঁক করে আসছে। সবাই বলছে, শাহরুখ দা এসেছে! এই ভালবাসা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
শৈশবটা অবশ্য ফাইজুলের ছিল সংগ্রামের। দুই বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন, দাদুর হাতেই বেড়ে ওঠা ফাইজুলের। চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। শেখ রিয়াজ, ফাইজুলের প্রতিবেশী, জানালেন, ‘খুবই ভাল লাগছে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর ভাইরাল হয়েছে। কলকাতায় গিয়ে টিভিতে দেখা যাওয়ার পর এখন ফাইজুলকে সবাই ছোট শাহরুখ বলে চেনে। আমরা সবাই গর্বিত।’