সেই উপন্যাসেরই অন্যতম গুরুত্তপূর্ণ এক চরিত্র ‘শ্রীনাথ বহুরূপী’। এই উপন্যাসের বহুরূপী চরিত্রটি মন ছুঁয়ে গিয়েছিল সুবল দাস বৈরাগ্যের৷ বাস্তবের এই ‘ছিনাথ বহুরূপী’র ছাত্র ছিলেন নানুরের চারকল গ্রামের বাসিন্দা কানাই চক্রবর্তী। সুবল দাস বৈরাগ্য জানান, বহুবছর আগে কুলে গ্রামে বহুরূপী সেজে এসেছিলেন এই কানাই চক্রবর্তী। গ্রামে কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সেবা-শুশ্রূষা করে ঠিক করে তুলেছিলেন সুবল দাস বৈরাগ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘গ্রিন বিজনেসে’ হাতেখড়ি, মহিলাদের স্পেশ্যাল ট্রেনিং! পরিবেশের ক্ষতি রুখে অঢেল আয়ের সুযোগ
নিজের শিল্পের প্রচারে তিনি ১৯৮৫ সালে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির হাত ধরে ওয়াশিংটন শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন। প্রায় দুই মাস বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় শো করে ফেরার পর দিল্লিতে তাঁর হাতে একটি গোলাপ ফুল দিয়ে নাকি ইন্দিরা-পুত্র বলেছিলেন, দেশের এই শিল্পীদের জন্য তিনি কিছু করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন সুবল দাস বৈরাগ্য। তবে তাঁর আক্ষেপ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অকালপ্রয়াণ তাঁর স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর পাঠভবন থেকে শুরু করে ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরের স্কুল শিশুতীর্থের বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সুবল বহুরূপী। ৮৫ বছর বয়সেও আজও সমান প্রাণবন্ত, একই রকম প্রাণোচ্ছ্বল। আজও তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিতে উৎসাহী শিশুরা। যদিও বর্তমানে নিজের ছেলে ধনেশ্বর দাস বৈরাগ্য এই পেশায় সঙ্গে যুক্ত,এর পাশাপাশি দশম শ্রেণিতে পাঠরত নাতি রাখব দাস বৈরাগ্যও বাবা ও ঠাকুরদার পেশা গ্রহণের জন্য তৈরি হতে শুরু করেছে।





