বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ঠিকাদার সংস্থার কর্মী হরিচরণ নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে বলেন, “একটা রেফারাল লিঙ্ক মোবাইলে আসে। মোটা অঙ্কের লাভের প্রলোভন ছিল। প্রথমে খেলেই বেশ কিছু টাকা পাই। তার পর আরও লাভের আশায় বিনিয়োগ করতে থাকি। শেষের দিকে সব হারালাম।”
প্রথম দিকে গেম খেলে কিছুটা লাভ হয়েছিল। সেই লাভের লোভে স্থায়ী আমানত-সহ যাবতীয় সঞ্চয় বিনিয়োগ করতে শুরু করেন হরিচরণ। বারবার হারতে হারতে মরিয়া হয়ে শেষ পর্যন্ত দু’ই বছরে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা উধাও। বিনিয়োগের টাকা তুলতে গেলে গেমিং অ্যাপের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, কয়েক দিনের মধ্যেই টাকা ফেরত আসবে। কিন্তু তা আর ফেরেনি।
advertisement
প্রতারণা বুঝতে পেরে সদাইপুর থানায় জেনারেল ডায়েরি করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট সাইবার অপরাধ দমন পোর্টালে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন হরিচরণ।
জেলা পুলিশের সাইবার থানা জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা প্রতারকদের হাতে গিয়েছে, তা তদন্তেই স্পষ্ট হবে। হরিচরণের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার বেআইনি জুয়ার অ্যাপ নিয়ে কড়া অবস্থান জানানোয় অগস্ট মাসে ভুল বুঝতে পারি। কিন্তু ততদিনে সব শেষ।”
আরও পড়ুন- বৃষ্টির মধ্যে কাজ করছিলেন, নিমেষে শেষ হয়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী! মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নদিয়ায়
হরিচরণের এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, অনলাইন গেম ও জুয়ার ফাঁদ কতটা ভয়াবহ হতে পারে। সামান্য লোভের নেশায় এক মূহূর্তেই উধাও হতে পারে জীবনের সমস্ত সঞ্চয়।