TRENDING:

প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রেল যোগাযোগ! শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য সবই থমকে! 'বীরের দেশে' থেকেও তাঁরা যেন বিচ্ছিন্ন

Last Updated:

Birbhum News: প্রায় ২০-২৫ বছর আগে হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয় ভীমগড় থেকে পলাস্থলী রেল পরিষেবা। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
খয়রাশোল, বীরভূম, সুদীপ্ত গড়াই: দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা ভীমগড় থেকে পলাস্থলী রেল পরিষেবা পুনরায় চালুর দাবিতে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লক ও সংলগ্ন ঝাড়খন্ডের নলা, কুণ্ডহিত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এখন রাস্তায় নেমেছেন। সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী, শ্রমজীবী থেকে বুদ্ধিজীবী সবাই একসঙ্গে জোরালো আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
advertisement

আরও পড়ুনঃ ‘দাগি’ নন, তবু মেলে না বেতন! স্কুল বাঁচাতে মরিয়া পূর্ব বর্ধমানের ৬ ‘বেকার’ শিক্ষক, তাঁদের কর্মকাণ্ড জানলে স্যালুট করবেন আপনিও

এক সময়ে এই অঞ্চলের জীবনরেখা ছিল এই রেলপথ। পূর্ব রেলের অন্ডাল রেলওয়ে ট্র্যাকের অন্তর্গত এই লাইনে চলত একমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন ‘পলাস্থলী’। সকাল ও সন্ধ্যায় দু’বার চলাচলকারী এই ট্রেনটি ভীমগড়, হযরতপুর, রসা, বড়রা অতিক্রম করে পলাস্থলী পৌঁছাত। প্রায় ২০-২৫ বছর আগে হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই পরিষেবা। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বন্ধুর মুখোশের আড়ালে ধ*র্ষক! মেলা দেখানোর নাম করে নাবালিকা বান্ধবীকে দিদির বাড়ি এনে রাতভর গণধ*র্ষণ! গ্রেফতার ২

View More

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা শেখ সেলিম আবেগপ্রবণ কণ্ঠে জানান, “আমাদের ছেলেবেলায় সকালে আর সন্ধ্যায় দু’বার ওই ট্রেনটা যেত। আমরা বলতাম ‘পলাস্থলী পার হচ্ছে’। তখন স্টেশনের টিকিটঘর খোলা থাকত, মানুষ গিজগিজ করত। কলেজ, বাজার, চিকিৎসা-সব কিছুর জন্য ওই ট্রেনটাই ভরসা ছিল। ট্রেনটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আমরা যেন একেবারেই বিচ্ছিন্ন।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

খয়রাশোল ব্লক এবং সংলগ্ন ঝাড়খন্ডের নলা ও কুণ্ডহিত ব্লক মূলত শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী অধ্যুষিত অনুন্নত অঞ্চল। এখানে নেই কোনো বড় শিল্প, নেই যথাযথ চিকিৎসা ও শিক্ষার সুবিধা। যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল, রাস্তার অবস্থা করুণ। এই অবস্থায় ভীমগড় ও পলাস্থলী রেল পরিষেবাই ছিল এলাকার মানুষের একমাত্র সেতুবন্ধন। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের এবং চিকিৎসার জন্য রোগীদের দূরবর্তী শহরে যাতায়াতে বিপুল সমস্যা তৈরি হয়েছে।

advertisement

ভীমগড় ও পলাস্থলী রেলপথ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম ছিল না, এটি ছিল এই অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক আবেগের অংশ। সাহিত্যিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ও কথাশিল্পী শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় জীবনের বিভিন্ন সময়ে এই ট্রেন ব্যবহার করেছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রেল যোগাযোগ! শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য সবই থমকে! 'বীরের দেশে' থেকেও তাঁরা যেন বিচ্ছিন্ন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল