প্রত্যেক বছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লীর খোলা মাঠে পটচিত্র শিল্পীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পসরা সাজিয়ে বসার ব্যবস্থা করে দেন। কোনও সাজানো স্টল নয়। আলোর ঝলমলে সৌন্দর্য নেই। তবু রঙের টানে থেমে যান মেলার পথচলতি মানুষ। মেদিনীপুর থেকে আসা পটচিত্রশিল্পীরা গাছের পাতা, প্রাকৃতিক রং আর হাতে বানানো তুলি দিয়েই ফুটিয়ে তুলছেন তাঁদের জীবনের গল্প। পটে পটে ধরা পড়ছে লোককথা, দেবদেবীর আখ্যান, গ্রামীণ জীবনের হাসি-কান্না,চাষ আবাদের গল্প।
advertisement
আরও পড়ুন: চা-পকোড়া বিক্রি করেই আইনের পড়াশোনা! মাথার ওপর লোন, মেয়ের জেদ দেখে ধন্য ধন্য করছে সবাই
খোলা আকাশের নিচেই চলছে কেনাবেচা। দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন সবটা। আর বিক্রেতাদের সেই সরলতাতেই মুগ্ধ ক্রেতারা। শিল্পীরা বলেন, আমরা প্রায় পঞ্চাশ জন এসেছি। খোলা আকাশের নিচেই বিক্রি করছি। ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার পটচিত্রই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে প্রত্যেক বছরের মতন। আবার মেলায় বহু সংগ্রাহকরা আসেন। সেই সমস্ত সংগ্রাহকদের জন্য রয়েছে বিশেষ বড় কাজ। যার দাম ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পৌষমেলার এই খোলা প্রান্তরে তাই শুধু কেনাবেচা নয়, চলতে থাকে শিল্পের সঙ্গে মানুষের নিঃশব্দ সংলাপ। সেই সংলাপ আরও একবার প্রমাণ করে দেয়-শিল্প বাঁচে স্বাধীনতায়, আর পটচিত্রের গল্প বাঁচে খোলা আকাশের নিচেই। লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় বর্তমানে পটচিত্রের শিল্পীদের।






