এর পাশাপাশি হামলার শিকার হওয়া মানুষজন ফেসবুক পেজে নাগরিকদের সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দিচ্ছে। রামপুরহাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন সপ্তাহ খানেক ধরে একটি হনুমান এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই সে হিংস্র হয়ে উঠছে। কয়েকমাস আগে বীরভূম জেলায় হনুমানের তান্ডব দেখা যায়। এরপরেই দিন চারেক আগে শহরের কামারপট্টি মোড়ে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাকে কামড়ে দেয় হনুমানটি। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। প্রতি মুহূর্তে এলাকা বদলে ফেলছে হনুমানটি। কখনও সন্ধ্যাবেলায় ঠ্যালা গাড়িতে চেপে ফুচকার আলু মাখা খাচ্ছে। কখনও আবার সাইকেল ও পথচারীদের আচমকা ধাক্কা মেরে ফেলে চম্পট দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার তার বিচরণ ছিল শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে। দুপুরে এক বৃদ্ধ স্কুটি চালিয়ে পাঁচমাথা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা পিছন থেকে তাঁর পিঠে এসে পড়ে হনুমানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিটি অন্য এক স্কুটিকে ধাক্কা মেরে চালক পড়ে যান। তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে। স্থানীয়দের অনুমান, হনুমানটি ক্ষেপে গিয়েছে। স্কুটির ধাক্কায় জখম হয়েছেন ওই এলাকার চা বিক্রেতা মিলন দাস। তিনি বলেন, ‘আমি এক ক্রেতাকে চা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি স্কুটি ধাক্কা মারে। কেটলির গরম চা শরীরে পড়ে গিয়েছে। যদিও কাণ্ড ঘটিয়ে নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যায় হনুমানটি। পরে খবর পাওয়া যায় হনুমানটি আশ্রয় নিয়েছে আদালত চত্বরে। তার হামলার আশঙ্কায় থানায় খবর দেন আদালতে থাকা আইনজীবীরা। যদিও পুলিশ আসার আগেই হনুমানটি নিজের স্থান পরিবর্তন করে।’ শহরবাসীরা বলেন, ‘আগে সেভাবে হনুমান দেখা যেত না। কিন্তু ইদানিং খাবারের অভাবের কারণে আনাগোনা বেড়েছে হনুমান দলের।’