নতুন আগত সেই প্রশাসনিক কর্তামহলের টেবিলে ঝুড়ি ঝুড়ি পুষ্পস্তবক জমা পড়ে। যার আয়ু কয়েক ঘণ্টা অথবা একটা দিন। সেই ট্র্যাডিশনে বদল আনলেন রামপুরহাটের নতুন মহকুমা শাসক অশ্বিনী বি রাঠোর। মাত্র হাতে গোনা কয়েক সপ্তাহ আগেই রামপুরহাটের নতুন মহকুমা শাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তিনি। অফিসে আসার পর থেকেই ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে অনেক শুভাকাঙ্খীরা। সেই দিক ভেবেই নিজের অফিসের বাইরেই একটি নোটিস ঝুলিয়ে দেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাওড়া পুর এলাকায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ! সমস্যায় পড়ার আগেই জেনে নিন দিনক্ষণ
সেই নোটিসে লেখা, ‘আপনারা মহকুমা শাসককে অভিনন্দন জানানোর জন্য ফুলের তোড়া উপহার দিচ্ছেন, তার পরিবর্তে আপনারা যদি মিষ্টি উপহার দেন, তা হলে তা দৃষ্টিদীপ শিক্ষানিকেতনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ কেন এই ধরনের উদ্যোগ? এই বিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা শাসক একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, “কয়েক দিন কয়েক আগে আমি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সত্যানন্দ দৃষ্টিদীপ শিক্ষানিকেতনে গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে দেখতে পাই ওই স্কুলে মোট ৩৯ জন দৃষ্টিহীন পড়ুয়া রয়েছে। আর ঠিক ওদের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম অল্পতেও বেছে থাকে অনেকে। ওখানে গিয়ে দেখলাম ওঁরা অল্পতেই খুব খুশি হয়। রাজ্য সরকার তো ওদের জন্য করছেই, তবে আমি ওদের ওই হাসি মুখটা দেখে আরও কিছু করতে চেয়েছিলাম। তারপরেই প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে এই নোটিস লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রামপুরহাট মহকুমা শাসক জানান ৩০০/৪০০ এমনকী তার অধিক টাকা দিয়ে পুষ্পস্তবক কিনে অনেকে উপহার দিচ্ছেন। এক বার হাতে তুলে দেওয়ার পরে তার আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে না। সেই জায়গায় মিষ্টি অথবা অন্য কোনও জাতীয় খাবার যদি তাঁরা নিয়ে আসেন, তবে তা ওই বাচ্চাদের হাতে তুলে দিলে তাঁরা তাতেই খুব খুশি হবে। নোটিস মেনেই খুশিতে অনেকে নানা ধরনের মিষ্টির সঙ্গে নানা খাবারের সামগ্রী নিয়ে আসছেন।






