শুধু কবিগুরুর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান নয় এর পাশাপাশি মূল আকর্ষণ বোলপুর সোনাঝুরির হাট। এই হাট নিছক কয়েকজন শিল্পীদের উদ্যোগে কয়েক বছর আগে ছোট আকারে শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে যত এই বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রাধান্য বেড়েছে এই হাটেরও চাহিদা বেড়েছে পর্যটকদের কাছে। কারণ এই হাটে গেলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন জামা কাপড় থেকে শুরু করে নানান শিল্পকর্ম বিক্রি হয়ে থাকে আর তা কিনতে এবং সেই সোনাঝুরির মেলা ঘুরতে সবসময়েই ভিড় জমায় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পর্যটকেরাও।
advertisement
আরও পড়ুন-১০ টাকার এই কয়েন রয়েছে? মুহূর্তে বদলে যাবে ভাগ্য… বিরাট সুখবর আপনার জন্য, কী করতে হবে জানুন
তবে অনেকেই বলেন এই বোলপুর শান্তিনিকেতন একদিনের জন্য ঘুরতে গেলেই যথেষ্ট। তবে আসলে কী একদিনের মধ্যে গোটা বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখা সম্ভব! বোলপুরের মধ্যে রয়েছে কী কী দেখার জায়গা? হয়তো অনেকেরই অজানা কারণ অনেকেই মনে করেন বিশ্বকবির বিভিন্ন মিউজিয়াম দেখার পাশাপাশি সোনাঝুরির হাট ঘুরেই বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। তবে এর পাশাপাশি রয়েছে অনেক জায়গা যেগুলি বহু পর্যটকদের কাছে অজানা।
তবে তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক বোলপুরের মধ্যে কী কী দেখার জায়গা রয়েছে। রয়েছে শান্তিনিকেতন ভবন- এটিই আশ্রমের সবচেয়ে পুরানো বাড়ি, ছাতিমতলা, কাচের মন্দির বা উপাসনাগৃহ, তালধ্বজ। তালধ্বজ উপাসনাগৃহের ঠিক উত্তরপূর্ব কোণে রয়েছে “তালধ্বজ“, তিনপাহাড়ও আম্রকুঞ্জ ,দেহলি, ঘণ্টাতলা, বকুলবীথি, উত্তরায়ণ প্রাঙ্গন, বিচিত্রা (রবীন্দ্রভবন), এবং সর্বশেষে রয়েছে সোনাঝুরির হাট।
আরও পড়ুন-দিঘার সমুদ্রে দানবীয়…! ছুটে এল কাতারে কাতারে মানুষ, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখলে আঁতকে উঠবেন আপনিও
বোলপুর গিয়ে যদি আপনি মনে করেন এই সমস্ত জায়গা একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন তাহলে এটা একদম সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ এই সমস্ত জায়গা কখনওই একদিনের মধ্যে দেখা সম্ভব নয়। অন্ততপক্ষে আপনাকে হাতে একদিন এবং এক রাত্রের প্ল্যান করে তারপর এ বাড়ি থেকে বের হতে হবে। বোলপুরের মধ্যে রয়েছে একাধিক হোম স্টে, সেখানে গিয়ে আপনি রাত্রি যাপন করতে পারেন আর আপনি যদি কম বাজেটের মধ্যে হোটেল খুঁজতে চান তাহলে সেখানে একাধিক হোটেল রয়েছে যেগুলির ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। সোম অথবা মঙ্গলবার করে যাওয়ার প্ল্যান করতে পারেন তাহলে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দিনের থেকে ভিড় থাকবে অনেকটাই কম।
সৌভিক রায়