বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত কুলে গ্রাম। সেখানে গ্রামের ঢালাই রাস্তা দিয়ে সোজা নেমে গেলেই দেখা মেলে সুবল দাশের বাড়ির। তাঁর বয়স এখন প্রায় ৮৩। এখন আর নিয়মিত বহরূপীর কাজ করেন না। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ডাক পেলেই ছুটে যান। তাঁর ছেলে ও নাতিও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।
সুবল দাশ জানান, বহরূপী হিসাবে তিনি প্রথম দুর্গা সেজেছিলেন। তিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ছিনাথ বহুরূপী’র গল্প পড়েছিলেন, তার পরেই ৪০ বছর বয়স থেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথমে তিনি যাত্রা করতেন। তার পর যাত্রা ছেড়ে বহুরূপীর পেশায় আসেন। নিজের উপার্জনে দুই মেয়ে এবং এক ছেলের বিয়েও দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে কখনও ১০ দিন কখনও ১৫ দিন করে থাকতেন। বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে তিনি মানুষের মন জয় করেছেন।
advertisement
তিনি আরও জানান ফ্রান্স,আমেরিকা,ওয়াশিংটন-সহ বিভিন্ন দেশে বহুরূপী সেজে ঘুরে বেরিয়েছেন। পেয়েছেন নামীদামি মানুষের হাত থেকে পুরস্কার। তিনি বলেন, ” এই শিল্প ভবিষ্যতে আদৌ টিকে থাকবে কি না জানি না! তবে টিকে থাকলে খুব আনন্দ পাব। এই প্রজন্ম তো জানেই না বহুরূপী কারা।”
সৌভিক রায়