২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষণা করেন। পরিকাঠামো না থাকলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে করোনা আবহ থেকেই পঠন-পাঠন শুরু হয়। বর্তমানে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও গণিত এই চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠদান চলছে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম উপাচার্য। তাঁর আমলেই বিশ্ববাংলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
advertisement
আনুমানিক প্রায় ৬০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করে হিডকোকে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যে ছাত্রীদের জন্য দুটি আলাদা হোস্টেল, অধ্যাপকি আবাসন, ইনডোর আউটডোর খেলার মাঠ, ৬০০ আসনের অ্যাম্পি থিয়েটার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, প্রশাসনিক ভবন, একটি ক্যান্টিনের কাজ শেষ। উন্নত ক্যাম্পাস পাবার আনন্দে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী অধ্যাপকেরা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বোলপুরে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে খুশি জেলাবাসী। তবে এখনও না হওয়ায় পঠনপাঠনের জন্য ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি ও গেস্ট লেকচারাররা পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করছেন। চার বিভাগে মোট ৩০ জন শিক্ষকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন। ছাত্র- ছাত্রী সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কমবেশি প্রায় ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন চারটি বিভাগে। ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিপ্রা দে ও মৌসুমী কবিরাজ জানান, “এই দিনটি অপেক্ষার ছিলাম। ভোর পাঁচটায় বাস ধরে আসতে হত বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস পেলে হস্টেলও চালু হয়ে যাবে। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে।”
অন্যদিকে বাংলা বিভাগের বকুল ঘোষ ও ইংরেজি বিভাগের মৌসুমী দাস বলেন, “শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও কম আসনের জন্য সকলের পড়াশুনার সুযোগ মিলত না। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দেওয়া উপকৃত এলাকার পড়ুয়ারা।”
উপাচার্য দিলীপ কুমার মাইতি জানান, “উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। রাজ্যপাল সম্মতি দিয়েছেন উদ্বোধনের পরেই ভবিষ্যতে ২৫টি কোর্স চালু হবে। ফলে ফাইন আর্টসের ফিল্ম স্টাডিজ, বিদেশি ভাষা, মৎস্য, মেডিকেল এর বিষয় যুক্ত হলে পড়ুয়ারা খুবই উপকৃত হবেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও বিশেষ সম্মান জানাতে ট্যাগোর স্টাডিজ সেন্টার চালু করা হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশ বিদেশের পড়য়ারা পড়াশুনা করার।
সৌভিক রায়