আরও পড়ুন: ফের বিকাশ ভবন অভিযান নয়া চাকরিপ্রার্থীদের! অভিজ্ঞতার নম্বর বাতিল, শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি
সূত্রের খবর, কলকাতার PWC-তে চার-পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার ও সমগ্র এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন আদর্শ। শুক্রবার রাত দশটার সময় পরিবারের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয় তার। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, বাইকে করে নিউ আলিপুরের দিকে যাচ্ছেন। এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি পরিবারের। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই কসবা থানার পক্ষ থেকে দুবরাজপুর থানায় ফোন যায়। তারপর দুবরাজপুর থানার পুলিশ খবর দেয় পরিবারকে একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে আদর্শ লোসালকার মৃতদেহ।
advertisement
ঘটনার খবর শোনার পরই ভেঙে পড়েছেন আদর্শের বাবা বিমল কুমার লোসলকা। তাঁর কথায়, “আমি শুধু শুনেছি ওর মার্ডার হয়েছে। কখন, কোথায়, কীভাবে কিছুই জানি না। মাথা কাজ করছে না। কসবা থানায় নাকি বডি আছে, এতটুকুই খবর। কাল রাতে কথাও হয়েছিল ওর সঙ্গে। নিউ আলিপুরে যাচ্ছিল বলেছিল। তারপর আর কোন যোগাযোগ নেই।”
শিক্ষায় মেধাবী আদর্শ দুবরাজপুরের শ্রীশ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশোনা করে পরে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় যান। বর্তমানে PWC-তে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযুষ পান্ডে। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছি। আদর্শ আমাদের ভাইপোর মত। খুবই শান্ত, ধর্মপরায়ণ এবং শিক্ষিত ছেলে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশ অবশ্যই সত্য উদঘাটন করবে বলে বিশ্বাস।”
এদিকে কসবা থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। তবে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে বা ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোন স্পষ্ট তথ্য দেয়নি। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের সদস্যরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
