স্বীকৃতি হিসেবে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কৌশভ পেয়েছেন চেতন চৌহান পুরস্কার। এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গুজরাতের বনস ডেয়ারিতে আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানে তাঁকে দেওয়া হয় ন্যাশনাল চেঞ্জমেকারস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫।
কৌশভ সান্যাল জানান, ২০১২-র দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ড এবং ২০১৩-র কামদুনি ঘটনার পর থেকেই তিনি মনে করেন মেয়েদের আত্মরক্ষায় সক্ষম করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৫ সালে শুরু করেন তাঁর বিশেষ উদ্যোগ ‘মিশন অনন্যা’। তারপর থেকে বীরভূম, বর্ধমান, হুগলি, ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন জেলার স্কুল-কলেজে গিয়ে তিনি বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ধর্মেন্দ্রের শেষকৃত্যে কেঁদে ফেললেন সানি…, শ্রদ্ধা জানাতে দু-হাত জোড় করলেন আবেগপ্রবণ হেমা
সাম্প্রতিক সময়েই তিনি দিল্লির রামানুজন কলেজেও সেলফ ডিফেন্স ও প্রতিরোধমূলক কৌশল শিখিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, “মানুষ বিপদে পড়লে কী ভাবে নিজেকে রক্ষা করবে, তা শেখানোই আমার উদ্দেশ্য। শরীরের দুর্বল অংশ কোথায়, পেছন থেকে চেপে ধরলে বা মুখ চেপে ধরলে কীভাবে নিজেকে ছাড়াবে, কোন পরিস্থিতিতে কোন জিনিসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এসবই শেখায়।”
মোবাইল ফোন, চুলের পিন, সেফটি পিন, জলের বোতল বা ভ্যানিটি ব্যাগ সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসকে কার্যকর অস্ত্রে পরিণত করার কৌশলও শেখান তিনি। এখনও পর্যন্ত ৬০ হাজারেও বেশি মেয়েকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, একেবারে বিনামূল্যে। বোলপুরের শ্রী নন্দ স্কুলে তাঁর প্রথম কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল। সেই থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের পাশাপাশি এ কাজই তার নেশা।
কৌশভের আরেকটি প্রকল্প ‘সীমান্তকন্যা সুরক্ষা মিশন’, যার মাধ্যমে ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-পাকিস্তান ও ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মেয়েদের তিনি পাচার-রোধ এবং আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় বহু ছাত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর অদম্য ইচ্ছাশক্তি, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং নিঃস্বার্থ উদ্যোগ আজ তাঁকে জাতীয় মঞ্চে বিশেষ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।





