জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ছিল 'ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলার'। এই সংক্রান্ত কিছু নথি আদালতে পেশ করেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী। সরকারি বিল কী ভাবে ছাপানো হয়েছে তাই নথিতে প্রমান করার চেষ্টা হয়৷ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতায় মান্যতা দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ডিভিশন বেঞ্চের।
advertisement
অবৈধ ভাবে টাকা তোলা হয়ে থাকলে অবিলম্বে তা বন্ধ করার নির্দেশও দেন প্রধান বিচারপতি'র ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানিতে ED সহ সমস্ত পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিত থাকারও মৌখিক নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। জনস্বার্থ মামলাকারি ধ্রুব সাহার আরও দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি কিউবিক মিটারে ১৩০ টাকা করে রাজস্ব আদায় করবে সরকার এবং এই টাকা 'গ্রিপ চালানের' মাধ্যমে খাদানের 'লিজ হোল্ডারের' কাছ থেকে আদায় করতে হবে।
মামলাকারির আরও দাবি, এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নলহাটি - মুরারই সহ বীরভূমের একাধিক খাদান এলাকায় বেআইনি ভাবে সরকারি বিল ছাপিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর।এর আগে বীরভূমে বেআইনি টোল তোলা নিয়ে হয় জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সেই অনিয়মের কাজ বন্ধ হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় টানা ১১দিন ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, উদ্যোক্তাদের জন্য বিদ্যুৎ বিলে 'সুখবর'!
সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই হাতে গ্রেফতার হয়েছে৷ তারপর থেকে রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে বীরভূম। পাথরখাদানে তোলাবাজি অভিযোগ লেগেই থাকত জেলার বিরোধী নেতাদের মুখে। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে বীরভূম জেলা রাজনীতিতে 'তোলাবাজি' ইস্যুতে নয়া হাতিয়ার পেয়ে গেল বিরোধীরা, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গরু, কয়লার পর পাথর খাদানের তোলাবাজি নিয়েও সরগরম বীরভূমের রাজনীতি।