সাজিনা গ্রামের মেয়ে মন্দিরা, লাঙুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২৬শে জুলাই কুসকুরুনি নদী থেকে শুরু হয়েছিল তার দণ্ডিযাত্রা। প্রতিটি দণ্ডি যেন শুধু শরীর নয়, পরীক্ষিত হয়েছে তার মন, আত্মা, আর ঈশ্বরবিশ্বাস। পাশে মা দীপালী মণ্ডল, চোখে চিন্তা, মুখে অদম্য সাহস, আর অন্তরে শুধু একটাই আশীর্বাদ, মেয়েটা যেন বাবার দরজায় পৌঁছায়।
advertisement
মন্দিরা মণ্ডল জানান, ‘আমার বোন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ভোলেবাবার কাছে মানত করেছিলাম। এখন সে ভাল আছে, তাই আমি এই যাত্রা করছি’ একটানা ৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ছোট বোন। মেয়ের এই মানত পালনে দীপালী মণ্ডল আবেগপ্রবণ, খেতে পারিনি, কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু মেয়ের জন্য গর্বও হচ্ছে।
পথের দুই পাশে জনতার ভিড়, কিশোরীর এই দণ্ডিযাত্রা দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়িয়েছেন। কেউ জলের বোতল এগিয়ে দিচ্ছেন, কেউ শুধু হাতজোড় করে নমস্কার করছেন এই কঠিন ব্রত পালনের জন্য। মন্দিরার সাহস ও আস্থার সামনে যেন সকলেই মুগ্ধ। এই ঘটনা শুধু এক কিশোরীর দণ্ডিযাত্রা নয়, এটা এক অসীম বিশ্বাসের প্রতীক, যেখানে ঈশ্বরভক্তি ছুঁয়ে যাচ্ছে হাজারো হৃদয়। মানুষের ভিতরের আত্মশক্তির, সংকল্পের এবং পারিবারিক ভালবাসার এক নিদর্শন হয়ে উঠেছে মন্দিরা মণ্ডলের এই পদযাত্রা।
সুদীপ্ত গড়াই