শতাব্দী প্রাচীন সিউড়ি শহরের একাধিক ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী বহন করে চলেছে সিউড়ির ট্রেজারি বিল্ডিং এর উপরে থাকা এক বিশালআকার ঘড়ি। কিন্তু প্রায় আট বছর ধরে অকেজো সেই ঘড়ি, আর সবকিছু জেনেও উদাসীন জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আসল নাম ছেড়ে পেয়েছে অন্য নাম! বীরভূমের সেই গ্রামে গেলে আজও শোনা যায় মাকুরের খটখটানি
advertisement
ইতিহাসবিদ সুকুমার সিংহ জানিয়েছেন, উনিশ শতকের প্রথম দিকে তৎকালীন হেতমপুরের রাজকুমার মহিমা নিরঞ্জন চক্রবর্তী সেই সময়ের জেলা কালেক্টরেকে উপহার দিয়েছিলেন এই ঘড়ি। লন্ডন থেকে নিয়ে আসা ঘড়িটিকে ১৯০২ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে ট্রেজারি বিল্ডিং এর উপর স্থাপন করে তৎকালীন জেলা প্রশাসন। দশকের পর দশক, ভোর থেকে রাত্রি।এই ঘড়ির শব্দেই সময় বুঝতেন শহরবাসীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ঘড়িটি এর আগেও বজ্রপাতে খারাপ হয়েছিল একবার, সালটা তখন ১৯৭০, পরে ১৯৯৫ সালে সিউড়ি শহরের একজন মেকানিক রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘড়িটিকে পুনরায় চালু করেন। তারপর থেকে তিনিই দেখভাল করতেন ঘড়িটির। বর্তমানে তিনিও পরলোক গমন করেছেন।
২০১৬ সালে ঘড়িটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন ২০১৬ সালে ঘড়ি খারাপ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন সবাই কিন্তু তা সত্ত্বেও হয়নি কোন সুরাহা, ঘোরেনি ঘড়ির কাঁটা, বাজেনি ঘড়ির ঘন্টা। সকলেই চাই অবিলম্বে এই ঘড়িটি মেরামত করা হোক।
সৌভিক রায়





