বাড়ির মালিক অঞ্জলি দাস জানান, সন্ধ্যা দেওয়ার সময় জ্বালানো ধূপকাঠি থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে। তিনি বলেন, “ধূপকাঠি জ্বালিয়েছিল ভাইয়ের মেয়েটা। আমরা তখন বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই।” অগ্নিকাণ্ডে টিভি, ফ্যান, লাইট, কাপড়চোপড়, কাগজপত্র, বাক্সের ভিতরের জিনিস সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘চকচক করলেই সোনা হয় না’! ১৫ লক্ষ টাকা খুইয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেলেন পুলিশকর্মী
advertisement
অঞ্জলি দাসের কথায়, “আমি ধার দেনা করে ঘর করেছি। এখন কিছুই নেই। শুধু গায়ে যে শাড়িটা আছে, সেটুকুই রইল।” অঞ্জলির ননদ উর্মিলা দাসও ঘটনার পর বলেন, “আমার মেয়েই সন্ধ্যা দিয়েছিল। জানা যাচ্ছে ধূপকাঠিতেই আগুন লেগেছে। ঘরের সমস্ত জিনিস কাপড়, চৌকি, টিভি, বাসন, বইখাতা কিছুই অবশিষ্ট নেই। টিনের চালা পর্যন্ত পুড়ে গেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী এবং সিউড়ি থানার পুলিশ। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘরের ভেতর থাকা সমস্ত জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগুন লাগার কারণ যাচাই করছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সাহায্যের ব্যবস্থা করা হোক। প্রশাসনিক সাহায্য পেলে হতদরিদ্র পরিবারটি অন্ততপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে।






