দুবরাজপুরের পৌরসভা নির্মিত মার্কেটের একটি গোডাউনে লুকিয়ে লুকিয়ে এমন কাজ করছিলেন এক ব্যক্তি, যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অন্য কেউ। এমনকি পার্শ্ববর্তী দোকানের মালিকরাও এই ঘটনার বিষয়টি জানতেন না বলেই দাবি করেছেন। তবে পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে আর সেই অনুযায়ী পুরো প্ল্যান ভেস্তে দেয় তারা। ঠিক কী কাজ করছিলেন ওই দোকানের মালিক।
advertisement
আসলে দুবরাজপুর পৌরসভা নির্মিত স্বামী ভুপানন্দ মার্কেটের একটি গোডাউনের মালিক লুকিয়ে লুকিয়ে গোডাউনে লক্ষ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত করেছিলেন। ওই মার্কেটের ১৭ নম্বর গোডাউনে ছিল এই সমস্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজি। মনে করা হচ্ছে দুর্গাপুজো ও আসন্ন অন্যান্য উৎসবের মরশুমে সেগুলি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান ছিল তার। কিন্তু বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিশ সেই খবর জানতে পারে এবং রবিবার দুপুরবেলায় ওই গোডাউনে হানা দেয়। আর সেখানে হানা দিয়ে সমস্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করে আনা হয় থানায়।
এমন বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে কোনরকম লাইসেন্স ছিল না ওই গোডাউনের মালিক চঞ্চল ইন্দের কাছে। কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সোমবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে। দুর্গাপুজোর মিটিংয়ে দুবরাজপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও ডিজে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও রমরমিয়ে চলছিল নিষিদ্ধ শব্দবাজি কারবার। যে কারণে এবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা শব্দবাজি উদ্ধার করে। জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া বাজিগুলি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনায় ওই গোডাউনের পাশের এক দোকানের মালিক জানিয়েছেন, কোনও কারণে এত শব্দবাজির বিস্ফোরণ হলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড বেঁধে যেতে পারত।