বৈঠকের প্রধান আকর্ষণ ছিল বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং অনুব্রতর মেলবন্ধন। এদিন বৈঠক শেষে কাজল শেখের মুখে শোনা গেল অনুব্রত বন্দনা, সেই সঙ্গে একসঙ্গে চলার বার্তা। কাজল শেখ এদিনের বৈঠকের পরে বলেন, “কেষ্টদা আমার রাজনৈতিক গুরু, রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা, কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই, একসঙ্গে কাজ করতে হবে, একসঙ্গে চলব”।
advertisement
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে তুমুল শব্দ, চলন্ত হেলিকপ্টারে উদ্দাম ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ দুই সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে
দু’দিকে তিনজন করে কোর কমিটির মোট ছয় সদস্য অনুব্রতকে মধ্যমণি করে বসেছিলেন। সম্পূর্ণ বৈঠকে যদিও অনুব্রত স্বল্প সময়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “তোরা ৬ জন ছিলি, আমায় নিয়ে ৭ জন হল। নিচু তলায় কাজ করা বেশি প্রয়োজন। তোদের সঙ্গে মিলে দলের উপরমহল যে রকম সিদ্ধান্ত নেবে সেই রকম কাজ করব”।
আরও পড়ুন: ‘মামাই আমার সব’! বিদেশি বোনঝির প্রেমে পাগল মামাও, ‘সইতে না পেরে’ ঘটালেন ভয়ঙ্কর ঘটনা
কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে অন্যতম সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “সুন্দর আলোচনা হয়েছে, সবাই নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। এবার জেলায় ঝাঁপিয়ে পড়বে, কোর কমিটিতে যার যা দায়িত্ব ছিল, তারা সেটা পালন করবে। সংগঠন শক্তিশালী হবে আমাদের আরও”।
বীরভূম তৃণমূলের বরাবর শক্তিশালী দুর্গ। অনুব্রত থাকাকালীন তা যেমন শক্তিশালী ছিল, অনুব্রতের জেলে যাওয়ার সময়েও দায়িত্ব নিয়ে সেই দুর্গ আগলে রেখেছেন কাজল শেখ-সহ কোর কমিটির সদস্যরা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বীরভূম জেলার কোর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠক হবে রামপুরহাটে, আসিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে। এছাড়াও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেক কোর কমিটির বৈঠকেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।