আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে প্রথম আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। রাত সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে সম্পূর্ণ হয় ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। দক্ষিণ কাকিনাড়ার কাছে নার্সাপুরে ‘সুপার সাইক্লোন’ বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগ স্পর্শ করে মন্থা। তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার।
advertisement
দিঘায় সারাদিন বৃষ্টি
বর্তমানে মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশের স্থলভাগে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে হিসেবে পরিণত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি বুধবার দুপুরের মধ্যে সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এর প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই দিঘার আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া আর প্রবল বৃষ্টি। সমুদ্রের ঢেউ উঁচু হয়ে আছড়ে পড়ছে সৈকতে। প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উত্তল অবস্থায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বারবার মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।
পর্যটকরা হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন। যদিও কিছু উৎসুক পর্যটককে দেখা গেছে দূর থেকে উত্তাল সমুদ্র উপভোগ করতে। কর্তব্যরত নুলিয়ারা বারবার পাইকিং করে সতর্ক করছে পর্যটকদের। যাতে কোন উৎসুক পর্যটক সমুদ্রে পা ভেজাতে নেমে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এক কর্তব্যরতুলিয়া রতন দাস বলেন, “বর্তমানে সমুদ্র খুবই উত্তাল। প্রশাসনের নির্দেশে মাইকিং করে পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। আমরা কাউকে সমুদ্রে নামতে দিচ্ছি না”
আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দুপুরের মধ্যেই মন্থা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং এরপর ছত্রিশগড়ের দিকে অগ্রসর হবে। তার প্রভাবে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর ও কাঁথি সহ উপকূল জুড়ে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
Madan Maity





