মূলত সব ধর্মের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এই খেলাকে সম্প্রীতি কাপ হিসাবে নামাঙ্কিত করে আয়োজক কমিটি। আর এই খেলাকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে খেলাপ্রেমী মানুষের মনে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতন। আর তারই ফলস্বরূপ সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, গোসাবা, বাসন্তী থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া থেকেও দর্শক ভিড় জমায় এই খেলা দেখতে। মূলত জয়নগর দক্ষিণ বারাসত কুলপী রাজ্য সড়ক একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে খেলার দর্শকদের চাপে। রাত ১১টা পর্যন্ত রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে জনসমুদ্রের চাপে। সমস্যায় পড়েন বহড়ু স্টেশনে নেমে বাড়ি ফিরতি মানুষ জন।
advertisement
রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। এই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় জয়নগর থানার পুলিশ, ট্রাফিক। এই খেলা দেখতে মাঠের দু’দিকের স্কুল, বাড়ি, দোকান পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এমনকি বিরাট উঁচু নারকেল গাছে চড়ে খেলা দেখতে দেখা যায় দর্শকদের। এদিন রাতে মিনি ফুটবলে শট মেরে এই খেলার সূচনা করেন জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বহড়ু মিলন উৎসব কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘দক্ষিন ২৪ পরগনা-সহ ৬টি জেলা থেকে বাছাই করা ১৬টি টিম নিয়ে আমাদের এই সম্প্রতি কাপ। আমরা খেলাপ্রেমী মানুষদের কাছে সেরা খেলা তুলে দিতে চেয়েছি। কিন্তু এত মানুষের সমর্থন পাবো এই ভাবে আমরা কল্পনা করতে পারিনি। পুরোপুরি জনসমুদ্রের চেহারায় নেয়। আমরা খুশি আমাদের পাশে এসে এইভাবে খেলাকে ভালবাসার জন্য। আমরা মানুষ, আমাদের কাছে ধর্মের চেয়ে মানুষ আগে। তাই সর্ব ধর্মের মিলন হিসাবে সম্প্রতি কাপে বহড়ু একথায় জনসমুদ্রের চেহারা নেয়। সব কিছুর মাঝে খেলাকে ভালবাসুন। খেলার মধ্যে দিয়ে শরীরচর্চাও হয়। খেলা উপভোগ করুন’।