গত বুধবারও এক নামী বিড়ি কারখানার বিভিন্ন ইউনিটে আয়কর দফতরে দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টার কাছাকাছি অভিযান চালিয়েছিল। বিড়ি শিল্প মহলের দাবি বার বার আয়কর দফতরের অভিযানের জন্যে বড় লোকসানের প্রভাব পড়বে বিড়ি ব্যাবসাতে,যার কারণে কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে।
আরও পড়ুন: অন্যের নিয়োগপত্রে ছেলের চাকরি, প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে CID হানা! তারপরই যা ঘটল...
advertisement
জঙ্গিপুর সহ সুতি, রঘুনাথগঞ্জ, সামশেরগঞ্জ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় ছ'শোর বেশি বিড়ি কারখানা রয়েছে। এই সমস্ত বিড়ি কারখানা থেকে বিড়ি পশ্চিমবঙ্গ সহ হরিয়ানা, দিল্লি, দক্ষিণ ভারতে, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যে পৌঁছে যায়। বড় কারখানায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক কোটির উপরে বিড়ি তৈরি হয় এবং ছোট বিড়ি কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখের কাছাকাছি বিড়ি তৈরি হয়। তারই মধ্যে তামাক আইন, জিএসটি-র কারণে এই ব্যবসায় একসময়ে বড় বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল।
বার বার আয়কর হানার জেরে বিড়ি শ্রমিকদের দাবি যে কারখানায় যদি উৎপাদন কম হয় ,সেই জায়গা থেকে আমাদের কর্মহীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। এক বিড়ি শ্রমিকের দাবি যে তাঁদের এলাকায় সবাই প্রায় বিড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাঁদের আয় ,রোজকার সব বিড়ি বাঁধার উপরে নির্ভরশীল। কারখানায় উৎপাদন কমলে তাঁদের কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এক বিড়ি ব্যবসায়ীদের দাবি যে ব্যবসায় সমস্ত নথি ঠিক থাকলেও ,বার বার আয়কর দফতরের হানার কারণে বাজারে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে, আয়কর দফতরের অভিযানের সময়। যদিও বিড়ি ব্যবসায়ী সংঘঠনের দাবি যে, এই সমস্ত বাধা কাটিয়ে ফের বিড়ি ব্যবসা লাভের মুখ দেখবে।