শ্যালিকার মেয়ের নাম মহুয়া সামন্ত, ডাকনাম কেয়া। তার দুই ছেলে অরিত্র সামন্ত ও অনিকেত সামন্ত। এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ওই বাড়িতে ঢুকে খুন করে তারা। সম্পত্তির লোভেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। দুজনকেই মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা।জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে বলে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কারা খুন করতে পারে সে ব্যাপারেও কিছু তথ্য মেলে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই খুনের কিনারা করা সম্ভব হল।
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার জানান, মহুয়া মাঝেমধ্যেই তার মাসি ও মে মেশোমশাইয়ের কাছে টাকা দাবি করত। শনিবার সকালে দুই ছেলেকে সঙ্গে এনে টাকা দাবি করে সে। ওই দম্পতি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপরই দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অভিজিতবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মহুয়া। তারপর ঘরে লুটপাট চালিয়ে ঘরের কলাপসিবল গেট ও বাইরের দরজায় তালা দিয়ে চম্পট দেয় তারা।
পুলিশ প্রথমেই মহুয়া সামন্তকে গ্রেফতার করে। জেরার মুখে সে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এই ঘটনায় তার দুই ছেলে তাকে সাহায্য করে বলে সে জানায়। এরপর তার দুই ছেলে অরিত্র ও অনিকেতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে খুন হওয়া দম্পতির মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জেরা করা হবে। তারা কত টাকা বা আর কি কি লুটপাট করেছে তাও জানা হবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মোবাইল চার্জ দেওয়ার তার দিয়েই শ্বাসরোধ করে ওই দম্পতিকে খুন করেছে তারা। ময়না তদন্তের রিপোর্টে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।