TRENDING:

আন্দোলন তুলতে রাতে বোমাবাজির অভিযোগ, আজও থমথমে ভাঙড়

Last Updated:

গতকালের পর আজ শনিবারও থমথমে ভাঙড় ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#ভাঙড়:  গতকালের পর আজ শনিবারও থমথমে ভাঙড় ৷ আন্দোলন তুলতে রাতেও হামলা-বোমাবাজির অভিযোগ আরাবুল ইসলাম ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ৷ শুক্রবার নতুনহাট-খামারআইট গ্রামে বোমাবাজি-মিছিল করে অবরোধ তোলার অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযোগ ওঠে আরাবুল ও দলবলের বিরুদ্ধে ৷ রাতে নতুন করে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা ৷ তখনই ফের তাঁদের উপর বোমাবাজি-হামলার অভিযোগ ওঠে ৷ অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন আরাবুল ইসলাম ৷ তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরাই বোমাবাজি করেছে ৷ অবরোধ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ৷ কাল কারা আমাদের পার্টি অফিস ভেঙেছে ৷ তা সবাই সংবাদমাধ্যমে দেখেছে ৷ ’’
advertisement

উত্তর গাজীপুরে সংঘর্ষ, গুলি-বোমাবাজি চলছেই। শুক্রবার তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়। আরাবুল গোষ্ঠীর সঙ্গে জমি জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির সংঘর্ষ বাঁধে। পোলেরহাট থেকে দু’জনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে আরাবুল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। কিসমত নামে এক আন্দোলনকারীকেকেও সকালে আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে গাছের গুড়ি ফেলে খামারআইট ও নতুনহাটে রাস্তা অবরোধ করে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। দিনের শেষে থমথমে ভাঙড়। সংঘর্ষ, গুলি-বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে ফের ভাঙড়ে ফিরে এল মাস দু’য়েক আগের স্মৃতি ৷

advertisement

কৃষিজমিতে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের বিরোধিতা করে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। জানুয়ারিতে টানা অবরোধে স্তব্ধ হয়ে যায় ভাঙড়ের জনজীবন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। শুক্রবার সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। স্বরূপনগর গ্রাম থেকে কিসমত লস্কর নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। এই গ্রামেই ১৭ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আলমগির মোল্লার। খবর ছড়াতেই লাঠি, রড নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয় খামারআইট ও নতুনহাটে।

advertisement

খবর রটে যায় আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর লোকজন নতুনহাট বাজার থেকে দু’জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। উত্তর গাজিপুরে আরাবুলের ডেরায় চড়াও হয় আন্দোলকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। সঙ্গে চলতে থাকে বোমা, গুলি ।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টে বড়সড় পুরস্কার! চার চাকা গাড়ি, বুলেট বাইক কী নেই..!
আরও দেখুন

গত ১৭ জানুয়ারি পাওয়ার গ্রিডের বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। ১৮ দিন ধরে অব্যাহত ছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি ৷ টানা অবরোধ, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ ৷পাওয়ার সাবস্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ভাঙড়ে আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনজন ৷ তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয় ৷ মৃতদের নাম মফিজুল আলি খান (২৬), আলমগীর মোল্লা (২২) ৷ আহত আকবর আলি মোল্লার ডান হাতে গুলি লাগে ৷ তবে গুলি কে চালিয়েছে এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ৷ পুলিশের বক্তব্য, বহিরাগতরাই গুলি চালিয়েছে ৷ বিক্ষোভকারীদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশই গুলি চালিয়েছে ৷ উত্তেজিত জনতা পুলিশের ১২টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং কিছু গাড়ি জলে ফেলা দেওয়া হয় ৷ ভাঙড়কাণ্ডে CPI(ML) রেড স্টারের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আন্দোলন তুলতে রাতে বোমাবাজির অভিযোগ, আজও থমথমে ভাঙড়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল