অনুষ্ঠানের শুরুতেই আশ্রমের আবাসিক মেয়েরা ঘরোয়া নিয়ম-নীতি মেনে ধান, দূর্বা ও চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে আশ্রমের আবাসিক ছেলেদের কপালে ভাইফোঁটা দেয়। ভালবাসা, মমতা ও আন্তরিকতায় ভরা এই দৃশ্য প্রত্যেকের মন ছুঁয়ে যায়। এ যেন রক্তের সম্পর্কের বাইরেও এক অটুট ভালবাসার বন্ধন, যেখানে ভাইবোনের স্নেহ, আদর ও যত্ন মিলেমিশে গিয়েছে নতুনভাবে।
advertisement
ভাইফোঁটা মানেই শুধু একটা উৎসব নয়, ভাইফোঁটা এক সম্পর্কের প্রতীক। সেই সম্পর্ককেই নতুন করে জাগিয়ে তুলল এই অনাথ আশ্রমের শিশুরা। ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আশ্রম প্রাঙ্গনে খুশির হাওয়া। আবাসিক ভাই-বোনেদের মুখে স্পষ্ট আনন্দের ছাপ। কারও হাতে থালা ভর্তি মিষ্টি, কারও হাতে প্রদীপ। ফোঁটা পরানো শেষে সবাই মিলে মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে। এরপর শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া। পোলাও, মাংস, পায়েস, মিষ্টি এমন আয়োজনে মুখে হাসি ফুটে ওঠে প্রত্যেক আবাসিকের।
আশ্রম পরিচালিত হোমের আবাসিকরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। উৎসবের শেষে সবাই মিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করে, গল্পগুজব ও হাসিখুশির পরিবেশে ভরে ওঠে গোটা দিন। ভাইফোঁটার এই বন্ধন যেন আশ্রমে এক অন্যরকম অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, যেখানে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও ভালবাসার টানে বাঁধা পড়ে সবাই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণ বলেন, “আমরা প্রতি বছরই ভাইফোঁটার এই অনুষ্ঠানটি পালন করি। আমাদের শিশুদের যেন কোনও কিছুতেই অভাব না হয়, সেটাই আমাদের চেষ্টা। ওঁরা যেন অনুভব করতে পারে সম্পর্ক মানে শুধু রক্তের নয়, ভালবাসার সম্পর্কটাই আসল।”