রাখী উৎসব, বিজয় দশমী বা ভাতৃদ্বিতীয়া মানেই বর্তমানে বাঙালির মিষ্টির উৎসব। যদিও সারা বছর শেষ পাতে কিংবা বাঙালির প্রতিটি উৎসব জুড়ে রয়েছে মিষ্টি। সেই দিক থেকে এই মিষ্টির উৎসবে আরও নতুন মিষ্টির খোঁজ করে মানুষ।
কথায় রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তারই একটি অঙ্গ ভাতৃদ্বিতিয়া বা ভাইফোঁটা। ভাই বোনের সম্পর্কে একটি পবিত্র দিন। নিয়ম অনুযায়ী দিদি বা বোন এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- সাইকেলেই ভারতের তীর্থদর্শন, হুগলি পৌঁছালেন গুজরাটের যুবক বিজয় সেবক
বছরে একটা দিন প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাই এর কপালে চন্দনের ফোঁটা আশীর্বাদ দিয়ে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোন বা দিদিরা। এই উৎসবের সঙ্গে সেই আদিকাল থেকে ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মিষ্টি। যদিও বর্তমানে মিষ্টিতে এসেছে অভিনবত্ব।
তাই এই দিন ঘরে ঘরে ফোঁটার উৎসবে মিষ্টির প্লেটে ভাইয়ের জন্য বিশেষ মিষ্টি রাখার চেষ্টা করেন কম বেশি প্রায় প্রত্যেক দিদি বা বোন। সেই দিক থেকে পছন্দের মিষ্টি কিনতে আগের দিন থেকেই মিষ্টির দোকানে ভিড় জমাচ্ছে দিদি বা বোনেরা।
মিষ্টি কেনার এই রীতি প্রায় প্রতি বছর। তাই সেই দিক থেকে দেখা যায় পছন্দের মিষ্টি নিতে মিষ্টির দোকানে অপেক্ষা করছে দিদি বা বোন।জেলার অধিকাংশ মিষ্টির দোকানেই বিপুল মিষ্টির সম্ভার। সেই সঙ্গে নিত্য নতুন বাহারি মিষ্টি তো রয়েছে।
এই উৎসবে নিত্যনতুন বিপুল মিষ্টির সম্ভার হাওড়া সালকিয়ার ব্রজনাথ গ্র্যান্ড সন্সে। এ প্রসঙ্গে মিষ্টি প্রস্তুতকারক অভিজিৎ দাস জানান, প্রতিটি উৎসবে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণ এবং বিশেষ মিষ্টি থাকে এখানে।
আরও পড়ুন- গোমাতা পুজো ও হরিনাম সংকীর্তনে মেতে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী
এবার নতুন মিষ্টি বলতে ডাব মালাই, ম্যাঙগো মালাই, ডাব চম চম ও সন্দেশ, ম্যাঙগো জলভরা, চকলেট জলভরা,পাইন অ্যাপল জলভরা, গন্ধরাজ ভরা, গন্ধরাজ সন্দেশ, ভাইফোঁটা সন্দেশ, খাঁজা,গজা, নলেন গুররের ভ্যারাটি সন্দেশ ও রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ রকমের মিষ্টি হয়েছে এখানে।রাকেশ মাইতি