রাজুকে ধরতে এখন পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে ৷ মনোজের প্রভাব বাড়তে দেখেই রাজু সম্ভবত খুনের ছক কষে বলে অনুমান পুলিশের ৷ তাঁর বিপদ আসতে পারে আভাস পেয়ে পুলিশকে তা জানিয়েওছিলেন মনোজবাবু ৷ এরপর ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যানের নিরাপত্তাও বাড়ায় পুলিশ ৷ প্রতিদিন সন্ধ্যে সাতটার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতেন মনোজ ৷ রীতিমতো তাঁর পিছনে ধাওয়া করেই দুষ্কৃতিরা খুন করে বলে জানা গিয়েছে ৷ রাজুর সহযোগী পাঁচ জনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ ৷
advertisement
পুরসভা ও দলের কাজ সেরে রোজ সন্ধেয় বাড়ি ফেরাই অভ্যাস ছিল ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়ের। কিন্তু, মঙ্গলবার বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। সেই সুযোগেই আঘাত হানে দুষ্কৃতীরা।
এদিন রাত এগারোটা নাগাদ দলীয় কর্মী রণেশ দুবের বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন মনোজ। ভদ্রেশ্বর রবীন্দ্রনগর এলাকায়, নিজের বাড়ির কাছাকাছি আসতেই ঘটে বিপত্তি। হাত দেখিয়ে মনোজের বাইক থামায় কয়েকজন। মনোজ বাইক থেকে নামতেই ঘিরে ধরে তারা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর মাঝেই মনোজকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
বুকে ও পেটে গুলি লাগে মনোজের। তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মনোজ খুন হতে পারে এমন আশঙ্কা থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।