দোকানে এলাহী ব্যবস্থা বা ঝা-চকচকে নয়, এই দোকানে টেবিল চেয়ার তো দূরের কথা। একটু বসার পর্যন্ত জায়গা নেই। অথচ এই দোকানেই খরিদ্দার এসে গুতাগুতি করছে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক মনে হলেও এমনই ঘটনা। এ বাংলায় কচুরি বা তেলেভাজা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। তবে তেলেভাজা সর্বত্র পাওয়া গেলেও নাম করা তেলেভাজা খুব কম। আবার এমন বহু তেলেভাজা বেশ সুনামের সঙ্গে বিক্রি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘গঙ্গাসাগর একবার’! পূণ্যার্থীদের ঢল, নানা রঙে মিলেমিশে একাকার সাগর, দেখুন ছবি
হাওড়া জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে এমন বহু নামকরা বা নামজাদা তেলে ভাজার বা কচুরি দোকান রয়েছে। যেখানে মানুষ একটু কসরত করে যেতেও দ্বিধাবোধ করে না। এবার সেই তালিকাতে চক্রধরের কচুরি। ক্রেতাদের বেশ পছন্দের হাওড়া দেওয়ানঘাট মোড়ে চক্রধর সাউ এর বিখ্যাত কচুরি। এই দোকানে প্রায় ১৬ বছর ধরে কচুরি আর তেলে ভাজা বেশ জনপ্রিয়।
জানা যায়, সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা চরম ব্যস্ততা। এক দিক থেকে গরম কচুরি ভেজে উঠছে। অন্য দিক থেকে ক্রেতারা রীতি মত লাইনে দাঁড়িয়ে কচুরি খাচ্ছে। নিমিষে শেষ হচ্ছে কচুরি। এ ছবি প্রায় প্রতিদিনের। এই দোকানে গেলে দেখা মিলবে ডো তৈরি করে লেচি কেটে কচুরি বেলা। তারপর গরম তেলে ফুলকো কচুরি ভাজা, একা হাতেই সামাল দিচ্ছেন বিক্রেতা চক্রধর বাবু।
এক ক্রেতা জানান, পাঁচটা কচুরি তিন টাকা। যদিও এই বাজারে ৩ টাকা দামের কচুরি খুব কম পাওয়া যায়। দাম কম হলেও স্বাদ অতুলনীয় এই কচুরি। গরম সুস্বাদু এই কচুরি খেতেই দু একটা কচুরির দোকান ছেড়েও ক্রেতারা এখানে আসেন।
এ প্রসঙ্গে, বিক্রেতা চক্রধর সাউ জানান, প্রায় ১৬-১৭ বছর এই দোকান। শুরু থেকেই কচুরি বিক্রি হয় এখানে। প্রায় প্রতিদিন সকালে ক্রেতারা ভিড় জমায় কচুরি খেতে। গত প্রায় চার বছর ১৫ টাকায় ৫ টা কচুরি পাওয়া যায়। লাভ কম হলেও বেশি সেলে লাভ হয়ে যায়।রাকেশ মাইতি