সোমবার রাতে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় নিজের প্রেমিকাকেই কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত চৌধুরী৷ নিহত তরুণী এবং ধৃত সুশান্ত দু' জনেই মালদহের বাসিন্দা৷ প্রেমিকাকে খুন করে নকল আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে পালিয়ে যায় সুশান্ত৷ এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সামশেরগঞ্জ থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: বহরমপুরে রাস্তার উপরে তরুণীকে খুন করল প্রেমিকই? ধৃত হামলাকারী, বড় সাফল্য পুলিশের
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বহরমপুরে আসে সুশান্ত৷ বহরমপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি গেস্ট হাউসে সে রাতে থাকে। নিহত তরুণী যে মেসে থাকতেন, তার সামনেও একাধিকবার যায় সে৷ তরুণী কখন বেরোতে পারেন তার আগাম আন্দাজ করে সোমবার বিকেলের পর থেকেই প্রায় ঘণ্টা তিনেক সেখানে অপেক্ষা করে সুশান্ত৷ শেষ পর্যন্ত সন্ধের পর প্রেমিকা মেসের বাইরে বেরোতেই তাঁর উপরে হামলা চালায় সুশান্ত৷
প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ পর্যন্ত একটি গাড়িতে যায় সে৷ রঘুনাথগঞ্জের অমরপুর থেকে অন্য একটি গাড়িতে ওঠে সে৷ ওই ম্যাটাডোর গাড়িতেই ইদ উপলক্ষে অনেকে বাড়িতে ফিরছিলেন৷ বাকি সবাই গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকলেও বসেছিল সুশান্ত৷
আরও পড়ুন: রাস্তায় পড়ে প্রেমিকার দেহ, খুনের পর দাঁড়িয়ে প্রেমিক! দেখুন বহরমপুরের ঘটনার ভিডিও
সামশেরগঞ্জে নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়িটিকে আটকায় পুলিশ৷ বাকি আরোহীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও সুশান্ত বসে থাকায় প্রথমেই তার দিকে নজর যায় পুলিশকর্মীদের৷ গাড়ি থেকে নামানোর পরে সুশান্তর জুতোয় রক্তের দাগ দেখে পুলিশকর্মীদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রেমিকাকে কোপানোর কথা স্বীকার করে সে৷ তখনই সুশান্ত পুলিশকর্মীদের কাছে পাল্টা জানতে চায়, হামলায় প্রেমিকা মারা গিয়েছে কি না৷
পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্তর সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেয়নি ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর পরিবার৷ তাই সম্পর্ক থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন ওই তরুণী৷ সেই আক্রোশ থেকেই সম্ভবত প্রেমিকার উপরে হামলা চালায় সুশান্ত৷