আরও পড়ুন: রঙে অ্যালার্জি, মা’কে দোল খেলাতে কাঁচা সবজি থেকে ভেষজ আবির তৈরি কলেজ ছাত্রীর
এই তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার মূল্য ছিল ৫০ হাজার টাকা। বাঁকুড়ার নবজীবনপুর আদিবাসী সুসার সাঁওতা আখড়া ক্লাবের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। উদ্যোক্তারা দাবি করেন, এমন প্রতিযোগিতা নাকি এই প্রথম হচ্ছে বাঁকুড়া জেলায়। ৫০০ টাকায় ৪০ টি, ১০০০ টাকা ৮০ টি এবং ২০০০ টাকায় ১৬০ টি তীর নিক্ষেপ করার সুযোগ পাবেন তীরন্দাজরা। প্রত্যেকের তীর আলাদা করে চেনার উপায় রয়েছে। কেউ লাল, হলুদ আবার কেউ সবুজ তীর ব্যাবহার করছেন। সকলের তীর নিক্ষেপ করা শেষ হলে বিচারক গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন চাঁদমারি অর্থাৎ বুল’স আই। সাদা বোর্ডে আলাদা আলাদা করে লেখা রয়েছে পয়েন্ট।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেই পয়েন্ট অনুযায়ী নির্ধারণ করা রয়েছে পুরস্কার। চাঁদমারি হলে প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা। খেলা শেষে দেখা যায় চাঁদমারির সাদা বোর্ড ভর্তি তীরে-তে। মানুষের উন্মাদনাও চোখে পড়ার মত ছিল। বছর পঁচাত্তরের পঞ্চানন মান্ডি গত ১২-১৩ বছর ধরে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত। এর আগে অন্যান্য জেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তীর ছুঁড়তে ভালোবাসেন বলেই বাঁকুড়া এসেছেন, এমনটাই জানান তিনি। একদম বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন নবজীবনপুরে মৌলিক এই প্রতিযোগিতা সকলের নজর কেড়েছে। হাতের মুঠোফোনের বাইরেও খোলা আকাশের নিচে একটি জগৎ রয়েছে সেই কথাটাই প্রমাণিত করল আদিবাসী এই গ্রাম।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী