সহপাঠী অর্কদীপ দাসকে সঙ্গী করে অভিনব ডিভাইস বানিয়ে ফেলেছে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস। তার কথায় ট্রেনের চালক ঘুমিয়ে পড়লে বা হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও পরিত্রাতার ভূমিকায় নামবে অভিজ্ঞানের যন্ত্র। চালকের আঙুলে লাগানো পাল্্স অক্সিমিটার সজাগ করবে মাইক্রো কন্ট্রোলারকে। সেখান থেকে নির্দেশ পেয়ে সক্রিয় হবে ব্রেক। থেমে যাবে ট্রেন।
advertisement
তাদের এই ডিভাইসের নাম ‘সেভ’৷ যার অর্থ হল ‘সেফটি অ্যান্ড অ্যালার্ট ফর ভালনারেবল এমারজেন্সি।’৬ ফুট থেকে ৩ ফুটের মধ্যে বাধা এলেই ব্রেক কাজ করবে। থেমে যাবে ট্রেন। দুর্ঘটনার আগে ট্রেন থামিয়েই ক্ষান্ত হবে না সেভ। সেইসঙ্গে, রেলের কন্ট্রোলরুমে ট্রেনের নম্বর ও জিপিএস লোকেশন সহ সতর্কবার্তাও পাঠাবে। ইতিমধ্যেই স্কুলের বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে প্রশংসা কুড়িয়েছে অভিজ্ঞানের মডেল। স্কুলের শিক্ষকদের আবেদন, এই ডিভাইস ব্যবহার করুক রেল কর্তৃপক্ষ। ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত অভিজ্ঞানের বাবা অনিন্দ্যকিশোর দাসও। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত অনিন্দ্য জানান, তাঁর অসুখই ছেলেকে এমন আবিষ্কারে উদ্বুদ্ধ করেছে।