আরও পড়ুন: গ্রামের পুজোয় থিমের লড়াই, কে কাকে টেক্কা দেবে
এই পরিস্থিতিতে কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলেই স্কুলের পঠন-পাঠন লাটে ওঠে, বাধ্য হয়ে ছেলেমেয়েদের ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এমনই বেহাল অবস্থা গোঘাটের নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা গিয়েছে, হুগলির এই প্রাথমিক স্কুলটি এক সময় মাটির ছিল। ধীরে ধীরে তা ভেঙে পড়ে। নতুন স্কুল বিল্ডিং তৈরির জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষে স্কুলের পঠন-পাঠন বজায় রাখতে গ্রামের মানুষ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ষোলনাতে অস্থায়ীভাবে ক্লাস করানোর অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে সেই ষোলনার জমিতেই গড়ে ওঠে স্কুল বিল্ডিং।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামবাসী, পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পাশের একটি মাঠের ফাঁকা জায়গায় স্কুল বিল্ডিং সরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। স্কুল কর্তৃপক্ষেরও তাই মত। এই বিষয়ে বারবার প্রশাসনের নানান স্তরে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও কোনরকম সাড়া আসেনি বলে জানা গিয়েছে। নবাসন বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মাপুই জানান, গ্রামের মানুষের একত্রিত হওয়ার জায়গাতেই চলছে পড়াশোনা। ফলে যে কোনও পুজো পার্বন বা উৎসব অনুষ্ঠানে পঠন-পাঠানে ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, পাশের একটি খেলার মাঠে স্কুলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে প্রশাসনকেও জানিয়েছি। কিন্তু ব্যাপারটাতে গা করছে না কেউ। বিভিন্ন দফতরে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর কতদিন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে!
শুভজিৎ ঘোষ