আরও পড়ুন: সেনার থিমে সাজবে পানাগড় স্টেশন, সূচনা মোদির হাতে
বীরভূমের এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫৯। মাথাপিছু সরকারি বরাদ্দ মাত্র ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। এই টাকায় পড়ুয়াদের পাতে রকমারি আনাজ তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে মিড ডে মিলের খাবারে একঘেয়েমির কারণে পড়ুয়াদের মধ্যে খাবার খাওয়ার বিষয়ে অনীহা দেখা দিয়েছিল। আর তাই স্বাদবৈচিত্র ফেরাতে স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জমিতেই আনাজ ও ফুলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
সেইমত বছর দুয়েক আগে পড়ুয়াদের নিয়ে আনাজ বাগান তৈরিতে নেমে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই বাগানেই এখন ঢ্যাঁড়শ, সিম, ঝিঙে, কুমড়ো, লাউ, পালং শাক, করলা, বেগুন সহ রকমারি আনাজ চাষ করা হচ্ছে। মরশুমি সেই সব আনাজ দিয়েই রান্না করা হচ্ছে মিড-ডে মিল। স্কুলের বাগানে ফলা আনাজ দিয়ে তৈরি মিড ডে মিলের স্বাদও হচ্ছে অপূর্ব। এতেছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মিড-ডে মিল খাওয়ার আগ্রহও বেড়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র প্রকাশ ধীবর,তৃতীয় শ্রেণির দোয়েল দাস, অর্ণব মণ্ডলরা বলছে, ‘আগে রোজ এক তরকারি-ভাত খেতে খেতে মিড-ডে মিলে অরুচি ধরে গিয়েছিল। এখন সেই খাবারে বাড়ির রান্নার স্বাদ পাই।’
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী পিঙ্কি কোনাই, সহ দলনেত্রী মানসী দাস’রা বলেন, আমাদেরও প্রায় রোজই এক তরকারি ভাত ছেলেমেয়েদের পাতে তুলে দিতে খারাপ লাগত। ওরা পাত পরিস্কার করে খেতও না। অথচ এখন স্কুলের বাগানের আনাজ পড়তে ওরা চেটেপুটে খেয়ে নেয়। এতে রান্না করা সার্থক মনে হয়৷ প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার চক্রবর্তী জানান, আগে ৬০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মিড-ডে মিল খেত। এখন ২০ শতাংশ বেড়েছে। গ্রামবাসীরাও স্বেচ্ছায় বাগান রক্ষণাবেক্ষণে শামিল হয়েছেন। সেটাও বড় পাওনা।
সৌভিক রায়