TRENDING:

Bengali News: ভারত-পাক যুদ্ধে বন্ধ হয়েছিল, ভোটের আগে খুলে গেল ময়া নৌ-বন্দর

Last Updated:

বাংলাদেশের রাজশাহি থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতা সঙ্কটের কারণে তা কার্যকর করা যায়নি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ: দীর্ঘ ৫৯ বছর পর আবার খুলে গেল ময়া নৌবন্দর। ফলে আবারও জলপথে ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ পুনস্থাপিত হল। এই ময়া নৌবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাবে।
advertisement

আরও পড়ুন: পুজোর পর ৮ মাস দেবী সরস্বতীকে রেখে দেওয়া হয় পাত্র বাড়িতে! কারণ জানলে অবাক হবেন

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ি-লালগোলা নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ ৫৯ বছর আবার সেই বন্দরে চালু হল নৌ পরিষেবা। লালগোলার ময়া গ্রামে নৌবন্দর পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় জাহাজ দফতরের আধিকারিকরা।

advertisement

৫৯ বছর আগে এই পথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়। এর পর থেকে পণ্য আনা-নেওয়া হত সড়ক ও রেলপথে। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহণের খরচ বেশি পড়ছিল। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। ব্যবসায়ীদের আশা, এই বন্দরের মাধ্যমে নৌপথে দুই দেশের মধ্যে বছরে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।

advertisement

View More

বাংলাদেশের রাজশাহি থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতা সঙ্কটের কারণে তা কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছছ। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ওপারে যাবে। এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে খুশি বর্তমানে এলাকার বাসিন্দারা।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ময়া নৌবন্দর দিয়ে নৌ-বানিজ্য শুরু করে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনে এই জেটি আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এদিন পাথর বোঝাই জাহাজ পদ্মা পারাপার করে। ২০১৫ সাল থেকে ভাবনা শুরু হয়, সেই লক্ষ্যে চিঠি করা হয় দুই দেশকে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে জমি ও নদী পরিদর্শন করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে মৌ স্বাক্ষর করা হয়। ৫২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় এই বন্দর। মোট ২৫ বিঘা জমির উপর তৈরি করা হয় এই বন্দর। এই বন্দর তৈরির ফলে নদী পথে গিয়ে ত্রিপুরাতেও পৌঁছবে পন্য। এই নৌ বন্দর পুনরায় চালু হাওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেবী অংশ নেন 'প্রতিযোগিতায়'! কার নিরঞ্জন আগে হবে, ঠিক করে ফলাফল! পুরোটা জানুন
আরও দেখুন

কৌশিক অধিকারী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengali News: ভারত-পাক যুদ্ধে বন্ধ হয়েছিল, ভোটের আগে খুলে গেল ময়া নৌ-বন্দর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল